Advertisement
E-Paper

অস্ত্র কারখানা-কাণ্ডে যুক্ত স্থানীয়দের খোঁজ

প্রশ্ন উঠছে, বিহারের মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিরা কেন এই শিল্পাঞ্চল এলাকাকেই বেছে নিল অস্ত্র কারখানার জন্য? স্থানীয় কারও সাহায্য ছাড়া এমন ঘাঁটি তৈরি সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এসটিএফ এখনও পর্যন্ত যাদের ধরেছে, তারা হয় বিহার, না হয় মালদহের বাসিন্দা। প্রশ্ন উঠেছে, স্থানীয়েরা কোনও ফাঁক গলে ফস্কে যাচ্ছে না তো?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০৫
কাঁকিনাড়া অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রাংশ। ফাইল চিত্র

কাঁকিনাড়া অস্ত্র কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া যন্ত্রাংশ। ফাইল চিত্র

বসত এলাকাতেই তুলনামূলক ফাঁকা এলাকা খুঁজে সেখানে বাড়ি ভাড়া নিয়ে খোলা হয়েছিল কারখানা। তৈরি করা হচ্ছিল নানা অস্ত্র। গত মাসে কলকাতা পুলিশের ‌স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এমন তিনটি অস্ত্র কারখানার হদিস পেয়েছে। তিনটিই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে।

প্রশ্ন উঠছে, বিহারের মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিরা কেন এই শিল্পাঞ্চল এলাকাকেই বেছে নিল অস্ত্র কারখানার জন্য? স্থানীয় কারও সাহায্য ছাড়া এমন ঘাঁটি তৈরি সম্ভব কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে। এসটিএফ এখনও পর্যন্ত যাদের ধরেছে, তারা হয় বিহার, না হয় মালদহের বাসিন্দা। প্রশ্ন উঠেছে, স্থানীয়েরা কোনও ফাঁক গলে ফস্কে যাচ্ছে না তো?

মাসখানেক আগে কাঁকিনাড়ায় যে অস্ত্র কারখানার হদিস মেলে সেই বাড়ি ভাড়া নেওয়া থেকে শুরু করে পুরো বিষয়টির দেখভাল করেছিল স্থানীয় এক যুবক। বিভিন্ন সময়ে ওই যুবক নানা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকে সে ফেরার। পুলিশ তাকে খুঁজছে।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (‌‌জোন-১) কে কান্নন বলেন, ‘‘ওই কারখানা তৈরিতে যিনি সাহায্য করেছিলেন, তাঁর সব তথ্য আমাদের হাতে এসে গিয়েছে। বাড়ির মালিকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুতের সংযোগ পাইয়ে দেওয়া এবং যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ তদারকি করেছিলেন স্থানীয় ওই যুবক। তাঁর খোঁজ চলছে।’’ ঘটনার পরে ওই যুবক বিহারে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জেনেছে। সোদপুরের ঘটনার ক্ষেত্রে উষুমপুরের দুই যুবকের কথা জানা গিয়েছিল। স্থানীয়দের দাবি, তারাই অস্ত্র কারবারিদের কারখানা তৈরির যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। কামারহাটির ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁকিনাড়ার কারখানাটিই প্রথমে তৈরি হয়েছিল। কোনও সমস্যা না হওয়ায় একের পর এক কারখানা তৈরির পরিকল্পনা ফাঁদে অস্ত্র-কারবারিরা। তারা শিল্পাঞ্চলকে নিরাপদ বলেই ধরে নিয়েছিল। এতেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি অস্ত্র কারবারিরা রাজনৈতিক কোনও সাহায্য পাচ্ছিল। পুলিশ জানায়, এখনও তেমন কোনও প্রমাণ হাতে আসেনি। তদন্ত চলছে।

Guns Munger Illegal Ammunition Factory
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy