মানিক ভট্টাচার্য এবং তাপস মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় শনিবার আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল। শনিবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) যান তাপস।
ইডি সূত্রে খবর, বেসরকারি ডিএলএড কলেজগুলির কর্তৃপক্ষকে আগামী সপ্তাহ থেকে তলব করা শুরু করবে তারা। নিয়োগ দুর্নীতিতে কলেজগুলির কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি কলেজের কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে কলেজগুলির কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগেই ইডি দফতরে এলেন তাপস।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর তলবে সাড়া দিয়ে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন তাপস। তারও কিছু দিন আগে তাপসের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তিনটি বিএড কলেজ ছাড়াও, তাপসের সংস্থা ‘মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’ও ইডির আতশকাচের নীচে রয়েছে। এই সংস্থার অধীনে ছয় থেকে সাতটি পলিটেকনিক এবং আইটিআই কলেজ রয়েছে বলে জানিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, মানিক-পুত্র শৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি বিএড, ডিএলএড কলেজের মানোন্নয়নের জন্য যে ২.৬৪ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল, সে সম্পর্কেই তাপসের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও নিয়োগের ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ইডি সূত্রে খবর।
রাজ্যের ৫৩০টি বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের থেকে মানিক-পুত্রের সংস্থা এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিল বলে অভিযোগ তুলেছিল ইডি। এই আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তাপস কিছু জানেন কি না, তা তাঁর কাছে আগেই জানতে চেয়েছিল ইডি।
শুক্রবার সন্ধের সময় ইডি দফতর থেকে বেরোন তাপস। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তাঁর অধীনে কাজ করা এক কর্মী তাপস মিশ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না ইডি আধিকারিকরা। ওই কর্মীর ঠিকানা তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই তিনি ইডি দফতরে হাজির হন বলে দাবি করেছেন তাপস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy