মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
কথা বলার স্বাধীনতা থাকলেও কুকথার স্বাধীনতা নেই বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় তিনি বলেন, ‘‘কুকথা বললে এক দিন মুখ বেঁকে যাবে।’’
সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফল ঘিরে যে তরজা শুরু হয়েছিল, তার পরই এ দিন কুকথা নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে কংগ্রেসের আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতার নিয়েও তুমুল চাপানউতোর চলে। কারও নাম বা ঘটনার কথা উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘কথা বলার স্বাধীনতা সকলের আছে। কিন্তু কুকথা বলার স্বাধীনতা নেই।’’ সেই সূত্রেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘এমন কথা বলবে না যাতে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ে।’’
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, কৌস্তভের গ্রেফতারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে যে প্রশ্ন উঠেছে, এ দিন তাদের উদ্দেশেই এই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই মাঝে কৌস্তভের বাড়ি সংলগ্ন ব্যারাকপুর ওল্ড ক্যালকাটা রোড থেকে পায়ে হাঁটা পথ সেন্ট্রাল রোড ও সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি ফ্লেক্স ঝোলানো হল তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে। কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের নাম নেই তাতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্যে ব্যারাকপুরের সংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে দাবি করে ব্যারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে কৌস্তভকে সামাজিক বয়কটের কথা সেখানে লেখা হয়েছে।
পুর এলাকায় এই ফ্লেক্স ঝোলানো প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান উত্তম দাস বলেন, ‘‘সংস্কৃতি সচেতন মানুষ প্রতিবাদ করেছেন। এই ফ্লেক্স ঝোলানোয় দলের কোনও যোগ নেই। ভাল-মন্দের বিচার তো সাধারণ মানুষই করেন।’’ কৌস্তভও এ দিন এই পথ দিয়ে হরিণঘাটা গিয়েছিলেন প্রাক্তন আইএএস দীপক ঘোষের কাছে, তাঁর বইটির পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে কথা বলতে। কৌস্তভ বলেন, ‘‘কুরুচিকর কথা তো শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করুন, আমি ওঁর পায়ে ধরে ক্ষমা চাইব। না হলে যত দিন না ক্ষমতার সিংহাসন থেকে ওঁকে সরাতে পারছি আমি মুণ্ডিত মস্তকে থাকব, তা সে যে যাই বলুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy