সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। শনিবার রাতে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি বলছে, ‘দাগি’ শিক্ষক ১৮০৪ জন। কমিশনের ওয়েবসাইটে তাঁদের নাম ও রোল নম্বর প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন দুই ২৪ বেশ কয়েকজন চাকরিহারা শিক্ষকও।
এই তালিকা ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁদের একাংশ। বনগাঁর এক যুবক বলেন, ‘‘এসএসসি-র দাগি তালিকায় আমার নাম রয়েছে। রোল নম্বরও মিলে গিয়েছে। অথচ আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে, কাউকে টাকা না দিয়ে চাকরি পেয়েছিলাম। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের অযোগ্য বলেনি। এসএসসি ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের ‘অযোগ্য’ বলছে। এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব। যতদূর যেতে হয় যাব।”
সাগরের এক শিক্ষকও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রকাশিত তালিকায় সাগরের অন্তত ১৫ জন শিক্ষকের নাম আছে। আমার নামও রয়েছে। পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিল-আপ করার পর শুনলাম সেটি নাকি বাতিল হয়েছে। এখন আমাদের আর কোনও পথ খোলা নেই। হাইকোর্ট, প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব। দুর্নীতির মাধ্যমে আমরা চাকরি পেয়েছি—এমনটা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাহলে কী ভাবে আমাদের নাম বাদ দেওয়া হল?”
তাঁর আরও অভিযোগ করেন, “যারা দুর্নীতি করেছে, সেই নেতা-মন্ত্রীরা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পাচ্ছেন। অথচ শিক্ষকদের বানানো হচ্ছে বলির পাঁঠা।”
তালিকায় রয়েছে বারাসত ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য ইছা হক সরদারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লাহর নামও। নাজিবুল্লাহ বলেন, “এসএসসি কিসের ভিত্তিতে অযোগ্য ঘোষণা করল? আদালতে বারবার তারা বলেছে ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা হলে অযোগ্যদের তালিকা তৈরি করল কী ভাবে? এ নিয়ে আদালতে যাচ্ছি। আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ইছা বলেন, “হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি দেখছে। এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)