আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। তাঁর বিধায়ক-পদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার ভিতরে হইচই এবং রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা। দল তবু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টে মঙ্গলবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই দলীয় বিধায়ক, নবনির্বাচিত কাউন্সিলরদের বৈঠকে হাজির থাকলেন সাজাপ্রাপ্ত তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলি!
রানিগঞ্জের বিধায়ক এ দিন ছিলেন খোশ মেজাজেই। কয়লা-চুরি কাণ্ডে পুরভোটের প্রাক্কালে তিনি দোষী সব্যস্ত হয়েছিলেন। তার পরেও সোহরাব আসানসোল পুর-নিগমের ভোটে প্রথমে প্রার্থী হয়েছিলেন। আবার তাঁর স্ত্রী নার্গিস বানুও নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন একই ওয়ার্ডে। বিতর্কের মুখে বিড়ম্বনা এড়াতে শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পুরভোট থেকে সরে দাঁড়ান সোহরাব। শেষ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী অবশ্য জয়ী হয়েছেন। ক্ষুদিরামের মঞ্চে এ দিন নার্গিসকে ডেকে নেন মমতাই। সোহরাব অবশ্য দলনেত্রীর ধারে কাছে যাননি। মঞ্চে নার্গিসকে মমতা অভিনন্দন জানান। তার পরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী ঘোষণা করেন, ‘‘নির্দল নার্গিস তৃণমূলে যোগ দিলেন।’’ নার্গিসকে ‘ভাল করে কাজ’ করার পরামর্শ দেন মমতা। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ছেড়ে মমতা বেরনোর পরেও সোহরাব অবশ্য দলীয় মন্ত্রী, নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতায়, ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy