Advertisement
E-Paper

রেললাইনে নজর ড্রোন ক্যামেরার

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে সমীক্ষায় নেমে পড়েছে রেল মন্ত্রক। এ রাজ্যে পূর্ব রেলে শুরু না হলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেল ড্রোনের সাহায্য নিতে শুরু করেছে বলে ওই জোনের কর্তারা জানান।

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সময়ে ট্রেন চালানো আর যাত্রীদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাই রেল পরিষেবার প্রথম দু’টি শর্ত। অথচ আমযাত্রীর অভিজ্ঞতা, এ দেশে নির্ঘণ্ট মেনে ট্রেন তো চলেই না, যাত্রী-সুরক্ষাতেও শত ছিদ্র। সময়সূচি মেনে তারা কবে ট্রেন চালাতে পারবে, রেলই জানে। তবে সুরক্ষা জোরদার করতে লাইন আর প্রকল্প পর্যবেক্ষণে ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার শুরু করে দিল তারা।

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে সমীক্ষায় নেমে পড়েছে রেল মন্ত্রক। এ রাজ্যে পূর্ব রেলে শুরু না হলেও দক্ষিণ-পূর্ব রেল ড্রোনের সাহায্য নিতে শুরু করেছে বলে ওই জোনের কর্তারা জানান।

দেশ জুড়ে মাইলের পর মাইল রেল নেটওয়ার্কে কোথায় কী ঘটে যাচ্ছে, প্রতি মুহূর্তে তা বিশদ ভাবে জানা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, যাত্রী-নিরাপত্তার বিষয়টি আরও ত্রুটিমুক্ত করতে শুধু গ্যাংম্যান (কি-ম্যান)-এর উপরে ভরসা না-রেখে ড্রোনের সাহয্যে লাইন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বোর্ড সূত্রের খবর, দেশের অন্যান্য জোনের মধ্যে পশ্চিম-মধ্য রেল প্রথম ড্রোন ব্যবহার করা শুরু করে। এখন অন্যান্য জোনও নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু করছে। রেলকর্তারা জানান, রেললাইনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পগুলির কাজ কতটা এগোচ্ছে, তা জানতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের খরচ দিনে দিনে যে-হারে বাড়ছে, তাতে সময়সূচি মেনে কাজ শেষ করতে না-পারলে সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। তাতে রেলেরই ক্ষতি। তাই উপর থেকে প্রকল্প এলাকায় ছবি তুলছে ড্রোন। কাজ কতটা হয়েছে, পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সেই ছবির মাধ্যমেই।

বোর্ড সূত্রের খবর, আপাতত এই দু’‌টো কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হলেও অচিরেই রেল দুর্ঘটনা এবং মেলা বা উৎসবের সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণে ওই ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, কোনও দুর্ঘটনার পরে সেখানে ড্রোন পাঠানো গেলে উদ্ধারকাজে সুবিধা হবে।

গত নভেম্বর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের বিভিন্ন প্রকল্প এলাকায় ড্রোন ক্যামেরা পাঠিয়ে ছবি তুলিয়ে অগ্রগতি দেখা হচ্ছে। ওই রেলের কর্তারা জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে আবার ওই ক্যামেরা পাঠানো হবে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে তোলা ছবিগুলি পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যাবে, কাজের অগ্রগতি কেমন।

রেলের খবর, ইতিমধ্যে পশ্চিম-মধ্য রেলের তিনটি ডিভিশনে ড্রোনের জোরদার ব্যবহার শুরু হয়েছে। ডিভিশনগুলি হল জবলপুর, ভোপাল ও কোটা। বীণা-কান্তি ও কান্তি-সিংগরৌলী নতুন রেললাইন পাতার কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন। এ বার বর্ষায় ওই ডিভিশনের বিভিন্ন সেতুর অবস্থা কেমন, তারও খোঁজখবর দিয়েছে ড্রোন।

Rail Indian Railway Drone Camera Rail Ministry ড্রোন ক্যামেরা রেল
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy