Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাফার জ়োন তৈরিতে জোর

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর থেকে হেরিটেজ তকমা পাওয়া ডিএইচআরের টয় ট্রেন লাইনের ৮৮ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর জবরদখল।

টয় ট্রেনের লাইনের দু’ধারের জমি দখল। নিজস্ব চিত্র

টয় ট্রেনের লাইনের দু’ধারের জমি দখল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৮
Share: Save:

দীর্ঘ দিন আগে দখল হয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের (ডিএইচআর) জমি। এর মধ্যেই নানা ঝুঁকি নিয়ে চলছে রেল। কিন্তু সেই জমি পুনরুদ্ধারের থেকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে টয় ট্রেনলাইনের পাশের এলাকার সৌন্দর্যায়নে। শনিবার দার্জিলিংয়ে হেরিটেজ কমিটির ত্রিপাক্ষিক ডাকা বৈঠকের পর এ রকমই ইঙ্গিত দেন রেল কর্তারা। তাঁদের দাবি, ডিএইচআরের সার্বিক উন্নয়ন প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে রেলের জমির দু’পাশে বাফার জ়োন তৈরিতে জোর দিয়েছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। আগামী দু’বছরের মধ্যেই তা করা হবে বলে জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। শনিবার দার্জিলিংয়ে হেরিজেট কমিটির বৈঠকে ইউনেস্কো এবং রেল ছাড়াও ছিলেন রাজ্য সরকারের পর্যটন আধিকারিকরা ছাড়াও প্রতিনিধিরাও।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর থেকে হেরিটেজ তকমা পাওয়া ডিএইচআরের টয় ট্রেন লাইনের ৮৮ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর জবরদখল। সেগুলি সরানোর চেষ্টা করেও পারেনি রেল। এ বার সেগুলির সরাতে রাজ্যের কাছেও চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়ে কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্রকুমার বর্মা বলেন, ‘‘ইউনেস্কো বাফার জ়োন তৈরি করতে বলেছে। রেলের সম্পত্তি চিহ্নিত করতে বলেছে এবং তার সঙ্গে সম্পত্তি রক্ষায় সকলের সাহায্য নিতেও বলেছে।’’ ডিএইচআরের সম্পত্তির মধ্যে হিলকার্ট রোডও রয়েছে বলে দাবি রেলের। রেলের দাবি, সম্পত্তির মধ্যে দখল হয়ে যাওয়া বাড়িঘর, বস্তি, দোকানপাট ছাড়াও রয়েছে রেলের ব্রিটিশ আমলের আবাসন এবং কার্শিয়াংয়ের প্রিন্টিং প্রেস। সেগুলিও যাতে সংরক্ষণ করা যায়, তাও দেখতে বলা হয়েছে। টয় ট্রেন সংরক্ষণ নিয়ে ইউনেস্কোর দেওয়া এই প্রস্তাবগুলি রেলের একার পক্ষে কার্যকর করা সম্ভব নয় বলে দাবি কর্তাদের। তার জন্যই রাজ্য সরকারের সাহায্য চাওয়া প্রয়োজন বলে দাবি রেল কর্তাদের।

এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে ছিলেন পর্যটন দফতরের অফিসাররা। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, আমাদের রাজ্যে ইউনেস্কো-স্বীকৃত সম্পত্তি রয়েছে, তা গর্বের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের রেল কার্শিয়াং প্রিন্টিং প্রেস, তিনধারিয়া ওয়ার্কশপ ঠিক মতো রক্ষণাবেক্ষণ করে না। বিজেপির সহযোগী দলের আন্দোলনের জেরে দু’টি স্টেশন নষ্ট হয়েছে, তাও ঠিক করা হয়নি। মাঝপথে রেলের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। সেগুলি ঠিকমতো না চালালে রাজ্য কী সাহায্য করবে। দখল নিয়ে সাহায্যের প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘‘রেলমন্ত্রকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করুক কর্তারা। আমাদের উপর মহল থেকে যে রকম নির্দেশ আসবে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Toy Train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE