Advertisement
E-Paper

কানহাইয়াকে কালি দিতে গিয়ে প্রহৃত

বিজেপির ‘জনবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক’ রাজনীতির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্রের দাবিতে দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি নিয়েছে সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব সংগঠন এআইএসএফ এবং এআইওয়াইএফ। কন্যাকুমারী থেকে ১৫ জুলাই শুরু হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর যা শেষ হবে উত্তরাখণ্ডে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৪৭
মার: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাম জনতার। মঙ্গলবার যাদবপুরে। ছবি: সুমন বল্লভ।

মার: হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাম জনতার। মঙ্গলবার যাদবপুরে। ছবি: সুমন বল্লভ।

আগের বারেরই পুনরাবৃত্তি।

সিপিআইয়ের ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমারের বঙ্গ সফরে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখল হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠন। এ বার তাদের লক্ষ্য, কানহাইয়ার মুখে কালি মাখানো! সেই কাজ করতে গিয়ে যাদবপুরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাম জনতার হাতে ধোলাই খেতে হল বিক্ষোভকারীদের। জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ তিন জনকে হাসপাতালে পাঠায়। সভা করতে গিয়ে কানহাইয়া অবশ্য পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীদেরই।

বিজেপির ‘জনবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক’ রাজনীতির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্রের দাবিতে দেশ জুড়ে ‘লং মার্চ’ কর্মসূচি নিয়েছে সিপিআইয়ের ছাত্র ও যুব সংগঠন এআইএসএফ এবং এআইওয়াইএফ। কন্যাকুমারী থেকে ১৫ জুলাই শুরু হয়ে ১২ সেপ্টেম্বর যা শেষ হবে উত্তরাখণ্ডে। বিজেপি-শাসিত কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছে কানহাইয়াদের কর্মসূচি। বাংলায় আসার পরে সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এবং এ দিন হাওড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তিনি। কোথাও হামলার নেপথ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, কোথাও হিন্দু সংহতি নামক সংগঠন। যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ডে সন্ধ্যায় কানহাইয়া পৌঁছনোর পরে আচমকাই ভিড়ের মধ্যে এগিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে কালি লেপার চেষ্টা করেন বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের ধরে ফেলেন সেখানে উপস্থিত ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্য মানুষজন।

দু’পক্ষের ধস্তাধস্তিতে কাচ ভাঙে গোটা দু’য়েক গাড়ির। গোলমাল থামাতে হস্তক্ষেপ করে সাদা পোশাকের পুলিশও। পরে মঞ্চের পিছন দিক থেকে আসা গেরুয়া শিবিরের একটি মিছিল আটকে দেয় জনতা। যাদবপুর ছাড়াও এ দিন ঢাকুরিয়া, নেতাজিনগর ও পার্ক সার্কাসে সভা করেছেন কানহাইয়া।

হামলার পরে সঙ্ঘ পরিবারকে বিঁধে কানহাইয়া বলেন, ‘‘কালো রঙে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু কালো রং লাগাতে হলে ওদের তো প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাওয়া উচিত!’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি দেশবিরোধী কথা বলে থাকলে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে আমাকে জেলে পুরে চার্জশিট দেওয়া উচিত ছিল। এমনকী, এই জমানায় ফাঁসিও হতে পারতো! কিন্তু আমাকে কেন ছেড়ে রেখেছেন, তার জবাব তো সঙ্ঘের প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেই দিতে হবে!’’

শহরে এলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও কথা অবশ্য শোনা যায়নি জেএনইউ-এর ছাত্র নেতার মুখে।

Kanhaiya Kumar Jadavpur AISF Activists কানহাইয়া কুমার বিজেপি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy