স্কুলশিক্ষা দফতরের আইন সেল এবং শিক্ষা কমিশনারেটের ‘আইন সেল’-এর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায়ই অভিযোগ তোলেন। তাই সমাধানসূত্র হিসেবে এ বার গড়ে তোলা হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ল সেল’ বা সুসংহত আইন সেল। এখন পৃথক আইন সেল রয়েছে স্কুলশিক্ষা দফতর ও শিক্ষা কমিশনারেটে।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা দু’টি জায়গাতেই অভিযোগ করেন। এর ফলে কার ফাইল কোন সেল দেখবে, তা নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়। ফলে গুরুত্ব দিয়ে ফাইল দেখার সময় যে হয় না, তা মানছেন কর্তারাই।
দফতরে বিচার পেতে দেরি হওয়ায় অনেক শিক্ষক বা শিক্ষিকা আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ফাইল নড়াচড়া না-হওয়ায় মামলার খরচের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের টাকাও সরকারি কোষাগার থেকে বেরিয়ে যায়। তাই সমন্বয় বাড়াতে নতুন সেল তৈরির উদ্যোগ চলছে।
শিক্ষা কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এখন দু’টি সেলে কাজ করেন অন্তত ২৫ জন কর্মী। তাঁরা বিকাশ ভবনের বিভিন্ন অফিসে বসেন। দু’টি সেল মিলেমিশে একত্রে কাজ শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগের দ্রুত সুরাহা করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তখন বিকাশ ভবনে একটিই অফিস থাকবে। কর্মীরা বসবেন একই জায়গায়। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীরা সব রকমের অভিযোগ করতে পারবেন ওই একই জায়গায়। সেখানকার কর্মীরা অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী দফতরে বা কমিশনারেটে পাঠাবেন।
কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেই রিপোর্টও আবেদনকারীরা পাবেন ইন্টিগ্রেটেড ল সেল থেকেই। এর ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে, দফতরের মুখ পোড়া বন্ধ হবে বলে মনে করছে দফতর।
এর আগেও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে পরিস্থিতি সামাল দিতে চেয়েছিলেন কর্তারা। তা সত্ত্বেও অনেক আবেদনকারীই দফতরে এবং কমিশনারেটে পৃথক ভাবে আবেদন করছিলেন। তাই বিভ্রান্তি বাড়ছিল। তাতে রাশ টানতেই এই উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy