কোথাও স্টেশন সামলানোর ভার কাঁধে তুলে নিলেন তাঁরা। কোথাও ছোটালেন বাতানুকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। লোকাল ট্রেন এবং পণ্যবাহী মালগাড়ি ছোটাতেও দেখা গেল তাঁদের।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলে মহিলাদের ক্ষমতায়নে রবিবার এমনই ছবি তুলে ধরা হল। চক্ররেলের প্রিন্সেপ ঘাট স্টেশনটি শিয়ালদহ ডিভিশনের প্রথম মহিলা পরিচালিত স্টেশন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এ দিনই। ওখানে স্টেশনমাস্টার মহিলা, সিগন্যাল, পয়েন্ট ও টিকিট কাউন্টার সামলানোর যাবতীয় দায়িত্ব সামলাবেন তাঁরাই।
আসানসোল ও বর্ধমানে মালগাড়ি চলেছে মহিলা লোকোচালক ও গার্ডদের তত্ত্বাবধানে। বর্ধমান থেকে একটি মালগাড়ি ডানকুনি পর্যন্ত আসে তাঁদের নিয়ন্ত্রণেই। শিয়ালদহ-রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত ট্রেন হিসেবে রওনা হয় বিকেলে। গত বছরই মহিলা চালক ও গার্ডের তত্ত্বাবধানে ওই ট্রেন চালানো শুরু হয়েছিল। এ দিন টিকিট পরীক্ষক ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেলরক্ষী বাহিনীর কর্মীরাও ছিলেন মহিলা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে মেয়েরাই ছুটিয়েছেন এক্সপ্রেস ট্রেন। পুরী-দিঘা সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসকে খড়্গপুর থেকে দিঘা নিয়ে যান মহিলা কর্মীরা। চালক হিসেবে অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট সোমা সরকার, গার্ড বিউটি ভট্ট-সহ মোট ৫৬ জন মহিলা কর্মী ছিলেন ওই ট্রেনে। খড়্গপুর থেকে আন্দুল পর্যন্ত একটি মালগাড়িও চালানো হয় এ দিন মহিলা চালক ও গার্ড দিয়ে। রেলের মহিলা কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।