প্রশ্ন: পরিস্রুত পানীয় জল কতটা অংশে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে?
উত্তর: জেলার ৩ লক্ষ ১৫ হাজার বাড়ির সামনে একটি করে ট্যাপ বসার কথা। ইতিমধ্যে ৬৩,০৭৭টি বাড়িতে জলের ট্যাপ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের তরফে সৌরশক্তি চালিত পানীয় জল ও সেচের প্রকল্পও হয়েছে।
প্রশ্ন: এত প্রকল্পের পরেও ‘দিদির দূতেদের’ কেন বিক্ষোভে পড়তে হয়েছে?
উত্তর: অভাব-অভিযোগ জানতেই দিদির দূতেদের পাঠানো হয়েছিল। মানুষের বক্তব্য, তা ক্ষোভের আকারেই হোক বা অন্য ভাবে, জানাটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। তবে আমি ক্ষোভের মুখে পড়িনি।
প্রশ্ন: এখনও অনেক এলাকায় পাকা রাস্তা নেই কেন?
উত্তর: বাম আমলে তো হাতে গোনা পাকা রাস্তা ছিল। এখন সর্বত্রই পাকা রাস্তা দেখতে পাবেন। কিছু গ্রামীণ এলাকার কাঁচা রাস্তা আছে। সেগুলি পাকা করার কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশ্ন: আপনার দলের অনেক নেতাই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে। মানুষকে কী জবাব দেবেন?
উত্তর: বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে পাঁচ বছর সভাধিপতি থেকেও নিজের পাকা বাড়ি করতে পরিনি। লালগড়ের নেপুরা গ্রামে আমার বাড়ি এখনও মাটির দেওয়াল আর টিনের ছাউনি।
প্রশ্ন: পর্যটনের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কতটা ভূমিকা নিয়েছে?
উত্তর: পর্যটনের উন্নয়নে বিভিন্ন দফতর থেকে বিপুল কাজ হয়েছে। জেলা পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা হয়েছে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পেও কাজ হয়েছে।
প্রশ্ন: একশো দিনের কাজের প্রকল্প ও আবাস প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা তো দুর্নীতির অভিযোগে আপনাদের বিঁধছেন?
উত্তর: কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল জেলায় এসে একশো দিনের কাজের মূল্যায়ন করে ভূয়সী প্রশংসা করে গিয়েছে। তাও কেন্দ্র দু’বছর ধরে বরাদ্দ বন্ধ রেখেছে। বকেয়া মজুরি না পেয়ে গরিব মানুষেরা ক্ষুব্ধ। দলীয় ভাবে আমরা মানুষকে বুঝিয়ে ক্ষোভ সামাল দিচ্ছি।
প্রশ্ন: কাজের দরপত্রে কাটমানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে। যার জেরে অনেক সময় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
উত্তর: কাজের গুণগত মানের সঙ্গে কোনও আপস করিনি। এমন অভিযোগও আমার কাছে আসেনি।
প্রশ্ন: পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ঠিক মতো খরচ হয়েছে?
উত্তর: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজ্যের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদ কাজের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে।
প্রশ্ন: কোন কাজ করা গেল না?
উত্তর: ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় লালগড়, বেলপাহাড়ি এবং বাঁকুড়া সংযোগকারী পাপটপুর সেতু চালু করা গেল না।
প্রশ্ন: এত কাজের পরেও টিকিট না পেয়ে কোনও আফসোস?
উত্তর: দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। পাঁচ বছরে এলাকার মানুষের যে সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছি সেটাই আমার পুরস্কার।
সাক্ষাৎকার: কিংশুক গুপ্ত ও রঞ্জন পাল
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)