E-Paper

‘সমস্ত পরিষেবা দিতে পেরেছি, এমন দাবি করছি না’

কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এ রাজ্যে টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে। অথচ এই প্রকল্পে সাফল্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রই পুরস্কৃত করেছে। তার পরেও টাকা বন্ধ করা হল।

শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩ ০৬:৫৯
পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ি। নিজস্ব চিত্র

পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ি। নিজস্ব চিত্র

প্রশ্ন: জেলায় গত পাঁচ বছরে পরিষেবা কতটা উন্নত হয়েছে?

উত্তর: একশো শতাংশ পরিষেবা দিতে পেরেছি, তেমন দাবি করছি না। তবু যতটা দেওয়া গিয়েছে, কম কিছু নয়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে রাজ্যে আমরা দ্বিতীয়। কঠিন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রথম। কেন্দ্রীয় সরকারের যতটা সাহায্য পাওয়ার কথা ছিল, তা মেলেনি।

প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব কি ভোটে পড়বে?

উত্তর: নিয়োগ দুর্নীতিতে আমাদের জেলার নাম সে ভাবে জড়ায়নি। তবে কিছু জনের চাকরি গিয়েছে বলে শুনেছি। ভোটে প্রভাব পড়বে না।

প্রশ্ন: আবাস যোজনাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

উত্তর: সম্প্রতি প্রায় ৩৩ হাজার বাড়ি তৈরির অনুমোদন এসেছে। কিন্তু কেন্দ্র টাকা পাঠায়নি। তাই কাজ শুরু করা যায়নি। প্রযুক্তিগত সমস্যায় কয়েকটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের নাম প্রকল্পের তালিকায় ওঠেনি।

প্রশ্ন: ‘কাটমানি’ না দিলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ।

উত্তর: বিরোধীরা নির্দিষ্ট প্রমাণ দিন, যেখানে কাটমানি ছাড়া প্রকল্পের সুবিধা মেলেনি। বার্ধক্য, বিধবা ভাতা থেকে শুরু করে আবাস, শৌচাগার— সবই ঠিক ভাবে হয়েছে।

প্রশ্ন: তা হলে ‘দিদির দূতেরা’ বিক্ষোভের মুখে কেন পড়লেন?

উত্তর: আমি এটাকে ক্ষোভ বলছি না। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অনুযোগ বলতে পারেন। আমরা তা মেটানোর ব্যবস্থা করেছি।

প্রশ্ন: নানা অঙ্গনওয়াড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ কেন?

উত্তর: জেলায় প্রায় আড়াই হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র আছে। কিছু কেন্দ্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ আছে, তা ঠিক। ভবিষ্যতে বিষয়টি মাথায় রাখবে জেলা পরিষদ।

প্রশ্ন: পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের টাকায় সালানপুর বারাবনিতে ২৩টি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়েছিল। তার বেশির ভাগ এখন দুষ্কৃতীদের আখড়া। কেন্দ্রগুলি বন্ধ হয়ে গেল কেন?

উত্তর: বিষয়টি জানা নেই। চিকিৎসকের অভাবে বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন হাল। সম্প্রতি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়া শুরু হয়েছে। ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামো কী ভাবে কাজে লাগানো যায়, দেখা হবে।

প্রশ্ন: বহু বাড়িতেই এখনও জলের সংযোগ পৌঁছয়নি।

উত্তর: প্রায় ৮০ শতাংশ পরিবার সংযোগ পেয়েছে। সালানপুর, বারাবনি ও জামুড়িয়ায় কিছু সমস্যা আছে। ডিভিসি-র থেকে জল পেতে সমস্যা হওয়ায় উচ্চ জলাধার ভরছে না। মাইথনে ডিভিসি-র জলাধার এলাকা থেকে পাইপে জল আনার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। আগামী গ্রীষ্মের আগে সমস্যা মিটবে আশা করি।

প্রশ্ন: একশো দিনের কাজে টাকা না পাওয়া ভোটে কী ভাবে প্রভাব ফেলবে?

উত্তর: কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এ রাজ্যে টাকা পাঠানো বন্ধ করেছে। অথচ এই প্রকল্পে সাফল্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রই পুরস্কৃত করেছে। তার পরেও টাকা বন্ধ করা হল। রাজ্য সেই অভাব মেটাতে নানা ভাতা চালু করেছে, বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে।

সাক্ষাৎকার: সুশান্ত বণিক

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

WB Panchayat Election 2023 West Bengal

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy