Advertisement
E-Paper

LIza Mukherjee: লিজ়ার চারটি ফ্ল্যাট, ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস

শুক্রবার লিজ়া-সহ ধৃত ছ'জন অভিযুক্তকে কলকাতা নিয়ে এসে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে এন্টালি, বেনিয়াপুকুর, কড়েয়া, নিউ মার্কেট থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

লিজ়া মুখোপাধ্যায়।

লিজ়া মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২ ০৬:১৮
Share
Save

বছর পাঁচেক ধরে সাধারণ মানুষের টাকায় লিজ়া মুখোপাধ্যায় চারটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। একই সঙ্গে স্কুলবাড়ি, হোটেল, খাবারের দোকান, মনোহারি দোকান তিনি চালাচ্ছিলেন নিজের সাম্রাজ্য বিস্তারের অঙ্গ হিসেবে। আর তা করার জন্য নিজের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দেরও তিনি ব্যবহার করছিলেন। লালবাজারের প্রাথমিক তদন্তে ওই তথ্য উঠে এসেছে। একই সঙ্গে তাঁরা আপাতত লিজ়ার আঠারোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন। সেখান থেকে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

আজ, শুক্রবার লিজ়া-সহ ধৃত ছ'জন অভিযুক্তকে কলকাতা নিয়ে এসে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে এন্টালি, বেনিয়াপুকুর, কড়েয়া, নিউ মার্কেট থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে এন্টালি থানার প্রতারণার মামলায় ওই ছয় জনকে গোয়েন্দারা মহারাষ্ট্রের নাসিকের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করেছেন। তাঁদের মধ্যে লিজ়া ছাড়া তাঁর স্বামী রিয়াজউদ্দিন, দুই ছেলে, এক মেয়ে এবং ছেলের এক বান্ধবীও রয়েছেন। এ ছাড়া আরও ছ’জন এজেন্টকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে লিজ়ার এক বোন রয়েছেন। পুলিশের দাবি, লিজ়াকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করলে জানা যাবে তাঁর ওই উত্থানের পিছনে আর কারা রয়েছেন। কারণ যে ভাবে হাজার হাজার লোককে তিনি প্রতারিত করেছেন তাতে পিছনে কোনও প্রভাবশালী থাকতে পারে বলে অনেকেরই অনুমান।

তদন্তকারীরা জানান, লিজ়ার এই সাম্রাজ্য ফুলেফেঁপে ওঠা এবং তাঁর বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থার কারবারের সঙ্গে পরিবারের অনেকেই জড়িত। তাঁদের সাহায্য নিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বাজার থেকে তুলেছিলেন লিজ়া। প্রথম দিকে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নানা উদ্যোগে বিনিয়োগ করেন তিনি। তাতে এলাকায় বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। পরে তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। এই তালিকায় লিজ়ার সৎ বোন, ভাইপো, ভাগ্নে প্রভৃতি আত্মীয়রা রয়েছে।

এক তদন্তকারী জানান, লিজ়ার কাছে প্রতারিতরা বেশিরভাগই নিম্নবিত্ত। আর তাঁদের কাছে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে প্রথম দিকে তিনি প্রতারিতদের বস্তির বাড়িতে বাড়িতে গিয়েও টাকা সংগ্রহ করতেন। বিশ্বাস করে অনেকেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন।

Chit fund Fraud

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}