ইস্তফা দিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ইস্তফা দিলেন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে আচমকা এই পদত্যাগের নেপথ্যে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়েছেন। তবে এই পদত্যাগের পর বাংলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে ভোটের দিন কোচবিহারের শীতলখুচিতে যখন গুলি চলেছিল, দেবাশিস সেখানকার এসপি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘কম্পালসারি ওয়েটিং’ বা বাধ্যতামূলক প্রতীক্ষায় ছিলেন। ইস্তফাপত্রে দেবাশিস জানিয়েছেন, নিজের কিছু সামাজিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্য অনুসরণ করতে চান তিনি। ভোটের ঠিক আগে দেবাশিসের এই ইস্তফায় অনেকে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখছেন। দেবাশিস রাজনীতিতে যোগ দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দেবাশিসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সম্পত্তির মামলায় তদন্ত শুরু করেছিল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনার পরে দেবাশিসের সম্পত্তির বিভিন্ন নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন তদন্তকারীরা। তা থেকেই জানা যায়, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কয়েকশো গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই অফিসারের।
এই সংক্রান্ত তদন্তের স্বার্থে দেবাশিসের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছিলেন সিআইডির গোয়েন্দারা। উদ্ধার করা হয়েছিল অনেক নথিপত্র। ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর সঙ্গে দেবাশিসের যোগাযোগও একসময়ে সিআইডির আতশকাচের নীচে ছিল। দেবাশিসের পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বেশ কিছু নথিপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী। শীতলখুচির ঘটনার পরেও দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy