কথা ছিল পঁয়তাল্লিশ জন আসার। এসেছেন মাত্র দু’জন। বাকিদের ইচ্ছা থাকলেও আসা সম্ভব হয়নি। আসলে ওই পঁয়তাল্লিশ জনই চিনের বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। তাঁরা দল বেঁধে দোলের সময়ে মায়াপুর ইস্কনের নবদ্বীপ মণ্ডল পরিক্রমায় নাম নথিভুক্ত করিয়েছিলেন। কয়েক মাস আগে যখন তাঁরা এ সব পরিকল্পনা করেছিলেন, তখনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়নি বিশ্ব। করোনা সংক্রমণের জেরে তাঁদের আর চিন থেকে দোলের মায়াপুরে আসা হয়নি।
এ ভাবে করোনার কারণে নবদ্বীপ, মায়াপুরের বিভিন্ন মঠে দোলে বিদেশি ভক্ত এবং পর্যটকদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো কম। নবদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের জল মন্দির কিংবা কেশবজি গৌড়ীয় মঠের এ বার এখনও পর্যন্ত বিদেশি ভক্তের সংখ্যা খুবই নগণ্য। রাত পোহালেই কেশবজি গৌড়ীয় মঠের পরিক্রমা শুরু হবে। অথচ, বিদেশি ভক্ত মেরেকেটে শ’দেড়েক। অন্য বার সংখ্যা খুব কম করে হলেও সাতশো ছাড়িয়ে যায়। দোলের দিনে তা সহস্রাধিক হয়ে ওঠে।
মঠের ভারপ্রাপ্ত মধুসুদন ব্রহ্মচারী বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে একের পর এক বিদেশি ভক্তের আসা বাতিল হয়ে যাচ্ছে। চিনের কেউ আসেননি। জাপান, কোরিয়া, হংকং থেকে কারও আসার কোনও উপায় নেই। শুধু বিদেশি ভক্ত বলে নয়, সামগ্রিক ভাবেই এবারে মানুষের ঢল এখনও পর্যন্ত বেশ কম।”