গোটা দেশে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ আইএসআই-এর সহযোগী সংস্থা সেন্টার ফর সফট কম্পিউটিং রিসার্চের দু’দশক পূর্তি অনুষ্ঠানেও প্রস্তাবিত আইএসআইএসআই বিলের ছায়া পড়ল। কেন্দ্রের খসড়া বিলটি এক কথায় প্রশান্ত মহলানবীশের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার বা বঙ্গ রেনেসাঁসের ইতিহাসের অমর্যাদা করছে বলে সরব হন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারপার্সন পূর্ণেন্দু বসু।
বুধবার আইএসআই-এর অনুষ্ঠানে পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘খসড়া বিলে আইএসআই-এর সদর কলকাতায় থাকবে কী না, তা বোঝা যাচ্ছে না। এটা বাঙালির প্রতি জাতক্রোধ। বঙ্গ রেনেসাঁস বা প্রশান্ত মহলানবীশের ঐতিহ্যেরও অপমান।’’ বিলটি নিয়ে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবার মত নেবে কেন্দ্রীয় রাশিবিজ্ঞান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রক। নানা মহলের আশঙ্কা প্রতিধ্বনিত করে পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘জাতীয় শিক্ষা নীতির গেরুয়াকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণের ছাপ পড়তে পারে এ বার আইএসআইএসআই-এও। পঠনপাঠনের খরচ বাড়বে। কেন্দ্র আইএসআইএসআই এবং রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের দখল নেবে। এর বিরুদ্ধে সব স্তরেপ্রতিবাদ দরকার।’’
প্রশান্ত মহলানবীশের দূরদর্শিতায় কার্যত এআই চর্চারও পথ খুলেছিল বলে মনে করান আইএসআই-এর প্রেসিডেন্ট শঙ্করকুমার পাল, সেন্টারের ইনচার্জ, অধ্যাপক কুন্তল ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর লিখিত বার্তায় এআইকে মানবতার সেবায় প্রয়োগের কথা বলেন। নানা বাধা ঠেলে শঙ্করের উদ্যোগের পরে ২০০৫এ সফট কম্পিউটিং সেন্টারটির পথ চলাশুরু হয়।
আইএসআই-এর প্রাক্তন অধ্যাপক, অধুনা ভুবনেশ্বরের ট্রিপল আইটির অধিকর্তা আশিস ঘোষ মনে করান, ‘‘সফট কম্পিউটিংয়ে বিশ্বের তৃতীয় সংস্থা আইএসআই-এর সেন্টারটি। পরে দেশের অন্যত্র এই ধাঁচের যে কোনও সংস্থাকে তারা লালন করেছে।’’ রাজ্যের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসওঅনুষ্ঠানে ছিলেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)