যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে হেনস্থা এবং পরবর্তী অশান্তির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের ব্যর্থতাই দেখছে কলকাতা হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, গোয়েন্দাদের এমন ভূমিকায় ভবিষ্যতে আরও খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, ‘‘এত বড় ঘটনা স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের শিক্ষা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’’ বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কী ভাবে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এত জমায়েত হল? গোয়েন্দারা ব্যর্থ হলে আগামী দিনে প্রতিবেশী দেশের মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে। সেটা তো হতে দেওয়া যায় না। ওই ভিড় সম্পর্কে পুলিশের গোয়েন্দারা যদি জানতে না পারে, আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতে।’’
গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন ব্রাত্য। জখমও হন তিনি। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও যেতে হয়েছিল তাঁকে। যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় দুই পড়ুয়াও জখম হন। তাঁদের এক জন চোখে আঘাত পান। অন্য জন চোট পান পায়ে। শনিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পর রাতেও অশান্তি ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে। ওই ঘটনার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছিল যে, পুলিশ তাদের অভিযোগ গ্রহণ করছে না। যাদবপুরের ঘটনায় সব মিলিয়ে সাতটি এফআইআর রুজু হলেও পুলিশ বাম ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ নিচ্ছে না।
তার প্রেক্ষিতেই বুধবার হাই কোর্টে রাজ্য জানান, সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক এফআইআর দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। পাল্টা আদালত জানিয়েছে, মামলাকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করতে হবে পুলিশকে।
সেই মামলাতেই যাদবপুরের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ, আগামী ১২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন রাজ্য ও মামলাকারী দু’পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে হবে।