করোনা-ত্রাসের মধ্যেই রাজ্যে রাজনৈতিক ‘ত্রাস’-এর খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, রাজ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এক ধরনের ভয় কাজ করছে। তাঁরা যদি তথ্য জানার অধিকার প্রয়োগ করে ক্ষমতাসীন ব্যক্তি ও কোনও ‘সংবেদনশীল’ বিষয় সম্পর্কে কিছু জানতে চান, তা হলে তাঁদের উপর ‘চাপ’ আসে, নানা রকম হেনস্থার শিকার হতে হয়। যা গণতন্ত্রের পরিপন্থী।
বুধবার রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ধনখড়। উভয়ের বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবন থেকে বিবৃতি জারি করে রাজ্যপালের এই মনোভাব জানানো হয়। যার কড়া সমালোচনা করেছে শাসক তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এক জন নাগরিক এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে আমি রাজ্যপালের এই ধরনের মন্তব্য নিন্দাজনক বলে মনে করি। তিনি রাজ্যপাল পদে বসার দিন থেকেই নিজের পদের নিরপেক্ষতা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন এবং এক জন রাজনৈতিক ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন ও কথাবার্তা বলছেন।’’ চন্দ্রিমার বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল যদি বিরোধী রাজনীতির মুখপাত্র হয়ে ওঠেন, তা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি রাজভবনে বসে সেই প্ররোচনা দিয়ে যাবেন, এটা বাংলার মানুষ কখনওই মেনে নেবে না।’’
রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়, এখানে ‘তথ্য জানার অধিকার’ যোগ্য মর্যাদা পায় না। অন্য রাজ্যের তুলনায় এখানকার অবস্থা খারাপ। মানুষ এখানে সেই অধিকার প্রয়োগ করতে ভয় পায়। রাজ্যপাল মুখ্য তথ্য কমিশনারকে পরিস্থিতি বদলের উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে পরামর্শ দিয়েছেন। রাজভবনের দাবি, বাসুদেববাবুও এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে জানিয়েছেন।