কোর্টে সশরীরে হাজিরা দিয়ে কেঁদেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। শুক্রবার ফের কাঁদলেন তিনি। তবে এ দিন সশরীরে নয়, হাজির ছিলেন ভার্চুয়ালি। সেই কান্না শুনে স্বামীর জামিনের শুনানিতে এজলাসে উপস্থিত বিধায়ক-পত্নীও কেঁদে ফেলেন। তবে শেষমেশ জামিন মামলার নিষ্পত্তি এ দিন হয়নি। বিধায়ক এবং ইডি-দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে বিচারক জানিয়েছেন, ২৭ অক্টোবর ফের এই মামলারশুনানি হবে।
এ দিন বিধায়কের আইনজীবী জাকির হোসেন তাঁর সওয়ালে বলেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ ১৩ মাস সিবিআইয়ের মামলায় জেল হেফাজতে ছিলেন। সেই মামলায় জামিনের পর ছ’মাস কেটে গিয়েছে। তখনও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই মামলায় ২৩৮ কোটি টাকার দুর্নীতি বলে অভিযোগ। অথচ কোনও প্রমাণ নেই। ইডি অযথা আমার মক্কেলকেগ্রেফতার করেছে।’’
এর পরেই বিচারক ইডি-কেপ্রশ্ন করেন, ‘‘মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। এত দেরিতে গ্রেফতার কেন?’’ এই সময়েই জেল থেকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকা জীবনকৃষ্ণ কাঁদতে শুরু করেন। এজলাসে বসে কাঁদতে থাকেন তাঁর স্ত্রীও। বিচারক দু’জনকেই কান্না থামাতে বলেন।
ইডি-র কৌঁসুলিরা এ দিন দাবি করেন, ‘‘জীবনকৃষ্ণ এই অপরাধে কতটা জড়িত তার খোঁজ চলছিল। তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছিল। পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে না এলে গ্রেফতার করা যায় না। জীবনকৃষ্ণের বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সব নথি কোর্টে পেশ করেছি। তিনি সরকারি চাকরি বিক্রির দালালি করেছেন। অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি কোথায় পৌঁছেদিয়েছিলেন তার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আছে। তাই জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)