Advertisement
E-Paper

বিশেষ প্রার্থীদেরই বেশি বয়সে চাকরি: এসএসসি

আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ১৯৭০ সালে জন্ম হয়েছে, এমন প্রার্থীও ২০১৬ সালে আবেদন করে লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ পেরিয়ে অপেক্ষমাণের তালিকায় রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:২২
বয়স ভাঁড়িয়ে অনেকে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে।

বয়স ভাঁড়িয়ে অনেকে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। প্রতীকী ছবি।

স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত বয়ঃসীমা যেমন আছে, একই ভাবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বয়সের ছাড়ও আছে বলে জানাচ্ছে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশন। তাদের এক কর্তা শুক্রবার জানান, বেশি বয়সে যাঁরা স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, সেই সব প্রার্থী বিশেষ শ্রেণিভুক্ত বলেই তাঁরা প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছেন।

বয়স ভাঁড়িয়ে অনেকে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছে। সেই অভিযোগটাই মানতে রাজি নয় এসএসসি। সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে শিক্ষকপদে আবেদনের সর্বাধিক বয়স ৪০ বছর। অভিযোগ, সেই নিয়ম ভেঙে ৪৫, এমনকি ৫০ বছর বয়সিদেরও নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকপদে নিয়োগ করা হয়েছে। চাকরি না-পাওয়া কিছু প্রার্থী এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। এসএসসি-কে এই বিষয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেছে কোর্ট। কমিশন-কর্তার দাবি, ৪০-এর বেশি বয়সে চাকরি পাওয়া শিক্ষকেরা হয় কোনও স্কুলে কর্মরত অথবা ওবিসি, তফসিলি জাতি, জনজাতি বা প্রতিবন্ধী। সরকারি নিয়মেই ওই সব শ্রেণির প্রার্থীরা বয়সে ছাড় পান।

আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ১৯৭০ সালে জন্ম হয়েছে, এমন প্রার্থীও ২০১৬ সালে আবেদন করে লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ পেরিয়ে অপেক্ষমাণের তালিকায় রয়েছেন। এসএসসি জানিয়েছে, ‘ওবিসি-এ’ এবং ‘ওবিসি-বি’ হলে ৪৩, তফসিলি জাতি ও জনজাতির ক্ষেত্রে ৪৫, প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৪৮ এবং স্কুলে কর্মরত অবস্থায় থাকলে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরির জন্য আবেদন করা যায়। এসএসসি-কর্তা বলছেন, “আমরা জেলার শিক্ষা ভবন থেকে চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের তথ্য চেয়েছি। ৪০-এর পরে চাকরি পাওয়া প্রার্থীরা কী শংসাপত্র দিয়েছেন, তা-ও দেখা হচ্ছে।” বয়সে ছাড় পাওয়ার যোগ্য প্রার্থীদেরই বেশি বয়সে নিয়োগ করা হয়েছে বলে এসএসসি-র তরফে দাবি করা হলেও আদালতের দ্বারস্থ হওয়া কর্মপ্রার্থীরা অবশ্য জানাচ্ছেন, তাঁরা যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই এই মামলা করেছেন।

এসএসসি শুক্রবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষার যে-সব শিক্ষক কর্মরত অবস্থায় ফের আবেদন করে চাকরি পেয়েছেন, তাদের বর্তমান চাকরির সবিস্তার তথ্য জানাতে হবে।

SSC candidates Calcutta High Court
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy