E-Paper

বেশি মুনাফার ফাঁদে প্রতারিত যুগ্ম বিডিও

যুগ্ম বিডিও-র তিন লক্ষ ১৭ হাজার ২৭১ টাকা খোয়া গিয়েছিল। নয়াগ্রাম থানার পুলিশের তৎপরতায় দু’লক্ষ সাত হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও দল জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৪ ০৮:৪৩
Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

বেশি লাভের লোভ দেখিয়েই ‘শিকার’ ধরা হয়। সেই ফাঁদে পা দিয়ে লক্ষাধিক টাকা খোয়ালেন এক যুগ্ম বিডিও। পুলিশের তৎপরতায় অবশ্য পরে কিছু টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। যুগ্ম বিডিও বলেন, “বেশি লাভ পাব বলে আশা করেছিলাম। আর সেটাতেই কাল হল।” ঝাড়গ্রাম জেলার ঘটনা।

যুগ্ম বিডিও-র তিন লক্ষ ১৭ হাজার ২৭১ টাকা খোয়া গিয়েছিল। নয়াগ্রাম থানার পুলিশের তৎপরতায় দু’লক্ষ সাত হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও দল জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “কোথাও বিনিয়োগ বা মার্কেটিং করার জন্য নানা অ্যাপ আছে। যার অধিকাংশ ভুয়ো। অ্যাপের সম্পর্কে জেনে বুঝে লগ্নি করতে হবে।”

যুগ্ম বিডিও অচেনা এক অ্যাপে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ছাড়াই এপ্রিলের গোড়ায় শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ শুরু করেন। লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। প্রথমে কয়েক বার টাকা ফেরত পেয়েছিলেন। টাকা ফেরত আসা বন্ধ হতে বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ১৬ মে নয়াগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ কিছু দিন আগে ৫০-৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। বুধবার ফের দেড় লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে দু’লক্ষ সাত হাজার টাকা ফেরত পেয়েছেন ওই যুগ্ম বিডিও।

যুগ্ম বিডিও বলেন, “একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তথ্য পেতাম। প্রথম কয়েক বারে মোট দু’লক্ষ টাকা ফেরত পাই। তার পরে টাকা ফেরত পাচ্ছিলাম না। তখনই বুঝতে পারি প্রতারণা হচ্ছে। এখনও এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা পাইনি।” কিছু দিন আগেই নয়াগ্রাম থানা এলাকায় উজ্জ্বলা যোজনার ভর্তুকির প্রলোভনে পা দিয়ে ৬০ হাজার টাকা খোয়ান এক ব্যক্তি। গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও পারভেজ সরফরাজ বলেন, “অনলাইনে এ রকম বহু প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। ওই যুগ্ম বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সাইবার অপরাধ নিয়ে বারবার সচেতন করছেন। তার পরেও এমন ঘটনা। ঝাড়গ্রামের ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) সব্যসাচী ঘোষ জানাচ্ছেন, যে সব অ্যাপের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হচ্ছে, সেগুলো সেবির নথিভুক্ত কি না, ‘ব্রোকার’ হিসেবে লাইসেন্স রয়েছে কি না, দেখা প্রয়োজন। ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পাওয়া চিত্তাকর্ষক লিঙ্কও যাচাই করে বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।

সব্যসাচী বলেন, “কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং (এনসিআরপি) পোর্টালে বা ১৯৩০ নম্বরে ফোন করে রিপোর্ট করতে হবে। রিপোর্ট করার পর অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বর আসবে। সেই নম্বর নিয়ে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানাতে হবে। এতে প্রতারিত হওয়া টাকা তাড়াতাড়ি আটকানো যাবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

BDO Fraud

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy