বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে ভোটের পরে সন্ত্রাসএবং কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের যথেষ্ট প্রস্তুতির অভাবের অভিযোগ তুলে চাপান-উতোরের পথেই হেঁটেছিল বিজেপি। এ বার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর মোকাবিলার ক্ষেত্রে রাজ্যে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলতেই বিজেপি নেতাদের আগাম নির্দেশ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা।
নড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সোমবার পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, সিকিম এবং আন্দামানের বিজেপির রাজ্য সভাপতি, ওই চার রাজ্যের বাছাই করা দলীয় পদাধিকারী এবং বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে ভিডিয়ো-বৈঠক করেন। বিজেপি সূত্রের খবর, সেখানে ধর্মেন্দ্র ‘ইয়াস’-এর সম্ভাব্য গতিপথ ব্যাখ্যা করেন। আর নড্ডা বলেন, এই বিপদের দিনে বিজেপির নেতা-কর্মীদের ঘরে থাকলে চলবে না। তাঁদের বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ত্রিপল, শুকনো খাবার, ওষুধ-সহ সব রকম ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। দলের একটি সূত্রের খবর, এই প্রসঙ্গেই বৈঠকে নড্ডা বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিজেপির নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে চলা উচিত। যেখানে রাজ্য সরকার ত্রাণে ব্যর্থ হবে, সেখানে দলকে ঘাটতি পূরণেও এগিয়ে যেতে হবে। জেলা, মণ্ডল, বুথ—সব স্তরেই জনগণের পাশে থাকতে হবে দলের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের।
তৃণমূল-শাসিত রাজ্য সরকার এবং বিরোধী বিজেপির যুদ্ধের আবহে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণে হাত লাগানোর যে নির্দেশ নড্ডা বৈঠকে দিয়েছেন, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। তাদের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ বেসামাল হওয়ায় কেন্দ্রের মোদী সরকার এবং বিজেপির দিকে আঙুল উঠছে। তাই ভাবমূর্তি উদ্ধারে ‘ইয়াস’-এর ত্রাণকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে বিজেপি।
চলতি সপ্তাহেই মোদী সরকারের প্রথম দফার সাত বছর এবং দ্বিতীয় দফার দু’বছর পূর্তি। কিন্তু এ বার সেই উপলক্ষে উৎসব হবে না বলে গত শনিবার নড্ডা দলকে চিঠি দিয়ে জানান। তিনি বলেন, করোনা আবহে মানুষের সেবাই হবে একমাত্র কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy