Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Calcutta High Court

আদালতের নির্দেশ মানার ইচ্ছা রয়েছে কি না জানান ২৪ ঘণ্টায়: মুখ্যসচিবকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তদন্তকারীদের সহায়তা করছে না রাজ্য সরকার।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:০৭
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশ মানার ইচ্ছা আদৌ রাজ্য সরকারের রয়েছে কি না, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা জানানোর জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

এই মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, মঙ্গলবার বিকেল ৩টের মধ্যে বিষয়টি হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। মামলাকারীর আইনজীবীকে ১ ঘণ্টার মধ্যে হাই কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের জিপি-কে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।

প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গ মহিলা ঋণদান সমিতির দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু সিবিআইয়ের উপর মামলার চাপ তৈরি হওয়ায় রাজ্যের ১০ জন পুলিশ অফিসারকে ডেপুটেশনে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। একই সঙ্গে আদালত জানায়, ওই মামলার তদন্তকারীদের উত্তরবঙ্গে থাকা এবং যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে রাজ্যকে।

তদন্তের স্বার্থে ওই মামলায় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল নির্দেশনামা মুখ্যসচিবের অফিসে পাঠান। প্রথমে ৩ নভেম্বর এবং পরে ৭ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশ জানানো হয়। কিন্তু সোমবার সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়, এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি রাজ্যের তরফ থেকে। তার পরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের ওই নির্দেশ।

প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন মোট ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বলে আবেদনকারী পক্ষের অভিযোগ ছিল হাই কোর্টে। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটানো হবে। কিন্তু পরে টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। তিন বছর ধরে তদন্ত করার পরেও সিআইডিও খুঁজে বার করতে পারেনি কাদের ওই টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। গ্রেফতার করা হয় সমিতির পাঁচ কর্তাকে। মামলাকারী আদালতে অভিযোগ করেন, ঋণ যদি দেওয়া হত, তাহলে গ্রহীতাদের নাম থাকত। কিন্তু সিআইডি গত তিন বছরে কারও নাম খুঁজে পায়নি। গত অগস্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাই মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE