অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়ায় ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অবস্থায় মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জুটা) সভায় পরিস্থিতি মাফিক অন্তর্বর্তিকালীন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু রাখারই আর্জি জানানো হল।
সভায় দাবি উঠেছে, ওবিসি সংরক্ষণের জন্য আগে ধার্য আসন খালি রেখেই বাকি আসনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালু করা হোক। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি মিটলে ওবিসি সংরক্ষণের জন্য নির্দিষ্ট আসনগুলিতে ভর্তি করানো যাবে। এটিই ভর্তি জটের বাস্তবোচিত সমাধান বলে এ দিনের সভায় মত প্রকাশ করা হয়। জুটার সিদ্ধান্ত, আজ, বুধবারই উচ্চ শিক্ষা দফতর ও অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরে চিঠি দেওয়া হবে। দরকারে অভিভাবকদের কাছেও তাঁরা যাবেন। রাজ্যের উচ্চতর কর্তৃপক্ষ আইনি পরামর্শের মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজছেন বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। সেই মতো নির্দেশ এলে তাঁরা পদক্ষেপ করবেন। জট শীঘ্রই কাটবে বলে শিক্ষা দফতরের উঁচুতলার আশা।
জুটার সভায় চলচ্চিত্রবিদ্যার অধ্যাপক অভিজিৎ রায় জানান, সারা দেশে ও রাজ্যে স্বশাসিত আর সংখ্যালঘু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় ছাত্র এবং অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে। শিক্ষকদের শঙ্কা, যাদবপুরের মতো প্রতিষ্ঠান ভর্তির শুরুতে পিছিয়ে থাকলে ভাল ছাত্রছাত্রীরা বাধ্য হয়ে অন্যত্র সরে যাবেন। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “ভর্তিতে এই দীর্ঘসূত্রতা বেসরকারিকরণেও উৎসাহ দেবে। গ্রাম, মফস্সলে গরিব, মেধাবীরা বিপদে পড়বেন।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মাতিন, ফারুক আহমেদ, রাহি সোরেনরাও আইন ও সংবিধানে সংরক্ষণের সুযোগ রেখে দ্রুত ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর পক্ষে সওয়াল করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)