কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ফাইল চিত্র।
অবশেষে রাজ্য বিজেপির বৈঠকে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গেল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। তিনি শুক্রবার দলের রাজ্য পদাধিকারী, বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যান এ রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস। গত আড়াই মাসে এক বারও তাঁকে রাজ্যে সশরীর দেখা যায়নি। কিছু দিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা রাজ্য বিজেপি-র একটি বৈঠকে ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেন। সেই বৈঠকের একেবারে শেষে শুধু নড্ডার বক্তৃতার সময়ে কৈলাসকে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সে দিন বক্তৃতা করেননি তিনি। বিজেপি নেতারা এ দিন ভার্চুয়াল বৈঠকে ঢুকে হঠাৎ কৈলাসকে দেখতে পান।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পরাজয়ের পরে দলের অন্দরে অনেকেই কৈলাসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু সাংগঠনিক বৈঠকে কৈলাসের সামনে প্রশ্ন তোলার কোনও সুযোগ এখনও বিজেপি নেতারা পাননি। সে সুযোগ এ দিনও ছিল না।
বিজেপি সূত্রের খবর, কৈলাস এ দিন বৈঠকে গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে সমাজের বিশিষ্ট জনেদের সম্মান জানানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, করোনার টিকা এবং রেশনের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘সাফল্য’ প্রচার করতে হবে বুথ স্তর পর্যন্ত। রাজ্যের চার নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার এবং শান্তনু ঠাকুর ১৭ থেকে ১৯ অগস্ট রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফর করবেন। সেই সময় তাঁদের দলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেও বৈঠকে জানিয়েছেন কৈলাস।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ দিন দিল্লিতে ছিলেন। তিনি ওই বৈঠকে যোগ দেননি। সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং রাজ্য বিজেপির ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশও বৈঠকে ছিলেন না। দলীয় সূত্রের খবর, কৈলাস বৈঠকে জানান, শিবপ্রকাশ একটু অসুস্থ হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy