E-Paper

মালগাড়িতে ‘ছিল না’ ওয়াকিটকি, দাবি তদন্তে

রেল সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) এলাকায় রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ওয়াকিটকির ঘাটতি রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে, তড়িঘড়ি বিভিন্ন ডিভিশন থেকে আনানো শুরু হয়েছে ওয়াকিটকি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২৪ ০৭:৫৪
দুর্ঘটনার মুহুর্ত। — ফাইল চিত্র।

দুর্ঘটনার মুহুর্ত। — ফাইল চিত্র।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার দিন মালগাড়ির চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডের কাছে কি ওয়াকিটকি ছিল না? রেল সূত্রের দাবি, রেলওয়ে সেফটি কমিশনার (সিআরএস) জনককুমার গর্গের কাছে এমনই তথ্য দিয়েছেন মালগাড়ির গার্ড বা ট্রেন ম্যানেজার ভবেশকুমার শর্মা। তাই গত সোমবার, দুর্ঘটনার দিন মালগাড়ির চালক অনিল কুমার, সহকারী চালক মনু কুমার এবং গার্ডের মধ্যে যোগাযোগে সমস্যা হয়েছিল বলে মনে করছে রেলকর্মীদের একাংশ।

রেল সূত্রের খবর, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) এলাকায় রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ওয়াকিটকির ঘাটতি রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে, তড়িঘড়ি বিভিন্ন ডিভিশন থেকে আনানো শুরু হয়েছে ওয়াকিটকি। গত তিন দিনে কাটিহার, নিউ বঙ্গাইগাঁও, এবং আলিপুরদুয়ার থেকে ৬০টি ওয়াকিটকি এসেছে। সেই সুবাদে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়া, ট্রেন চালানোর ঝুঁকি কেন নেওয়া হচ্ছে, উঠেছে প্রশ্ন।

দুর্ঘটনার সঙ্গে ওয়াকিটকি না থাকার সম্পর্ক রয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাব না দিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘ওয়াকটকি আনানো একটি লাগাতার প্রক্রিয়া। ব্যাটারি খারাপ হয়, সেট খারাপ হয়, আবার আনানো হয়।’’

কেন ওয়াকিটকি গুরুত্বপূর্ণ? বিপদ বুঝলে ট্রেনের গার্ড চালককে ওয়াকিটকিতে সাবধান করতে পারেন। লুপ লাইন ‘ক্লিয়ার’ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে চালককে জানাতে পারেন। গতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চালককে পরামর্শ দিতে পারেন। এ ছাড়া, ট্রেন স্টেশনের কাছাকাছি হলে স্টেশন মাস্টারের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়। তা দুর্ঘটনার দিন করা যায়নি বলেই খবর রেল সূত্রের।

এর মধ্যে মালগাড়ির সহকারী চালক মনু কুমার ছাড়াও, তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চান রেলের সেফটি কমিশনার। এর মধ্যে রেলের তরফে মনুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শিলিগুড়ির সূর্যসেন কলোনিতে বর্তমানে তাঁর স্ত্রী এবং বাবা, মা রয়েছেন। শনিবারেও পরিবারের লোকেরা অপেক্ষা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে

সেফটি কমিশনার কথা বলতে আসবেন বলে। এ দিন বেলা সাড়ে ১২টার পরে, স্ত্রী কিরণ নার্সিংহোমে যান মনুর সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর সঙ্গে ১০-১৫ মিনিট কথা বলেছেন মনু। তবে সে সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেল পুলিশের লোকজন ভিডিয়ো করার চেষ্টা করলে, আপত্তি জানানো হয়। রেলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মনুর বিরুদ্ধে রেল পুলিশের কাছে আরও অন্তত পাঁচ জন যাত্রী অভিযোগ দায়ের করেছেন। তা নিয়ে মামলা রুজু হয়েছে। অন্য দিকে, দুর্ঘটনায় জখমদের মধ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Indian Railways Death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy