রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। —ফাইল চিত্র।
তিনিই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তার পরেও তিনি অসাংবিধানিক কাজ করে চলেছেন। বুধবার বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে এমনই অভিযোগ করেছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার তার কড়া জবাব দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এ দিনই আবার তৃণমূলের সংসদীয় দল দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পাল্টা নালিশ জানিয়েছে।
গত মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে উন্নয়ন-বৈঠক করেছিলেন কেশরীনাথ। তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যপাল এই কাজ করতে পারেন না। বুধবার এই মর্মে বিধানসভায় বিবৃতি দিয়েছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ দিন ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দৃশ্যতই বিরক্ত রাজ্যপাল পাল্টা বলেন, ‘‘বলব? বললে অনেক কড়া কথা বলতে হবে। রাজ্যপালের অফিসের দিকে কাদা ছোড়ার আগে বাথরুমে গিয়ে ওঁদের আয়নায় নিজেদের মুখ দেখা উচিৎ। আগে তাঁদের নিজেদের মুখের ময়লা পরিষ্কার করা উচিৎ।’’ যা শুনে পরিষদীয় মন্ত্রী বিধানসভার ঘরে বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বয়স্ক মানুষ। বয়স্ক মানুষ অনেক সময় অনেক কথাই বলেন!’’ যদিও আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ দিনও আক্রমণাত্মক ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ রাজ্যপাল রাজভবনে বসে রাজনীতি করছেন। তৃণমূলের মুখে ময়লা লাগেনি। গুজরাতে যারা হত্যালীলা চালিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে যারা মানুষকে খুন করছে, তাদের মুখে ময়লা লেগেছে।’’ তৃণমূলের এমপিদেরও অভিযোগ, রাজ্যপাল সংবিধান বহির্ভূত আচরণ করেছেন। তাঁদের দাবি, রাজনাথ গোটা বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সব শুনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল যে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, তা তৃণমূল ভুলে যাচ্ছে। তারা রাজ্যপালকে বিজেপির প্রতিনিধি ভাবছে। তাই এত আক্রমণ!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy