মালঞ্চ এলাকার এই বাড়িতেই থাকেন রাজকুমারের পরিজনেরা।
খড়্গপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ পুরনো জলট্যাঙ্কের পিছনে দোতলা সবুজ রঙের বাড়িটার নাম ‘সেভেন হিলস’। কিডনি পাচার চক্রের পাণ্ডা ত্রিপুরানা রাজকুমার রাওয়ের রাজারহাটের বাড়ির সঙ্গে হুবহু এক নাম। রাজকুমার গ্রেফতারের পরে সে কথা টিভিতে জেনেই সন্দেহ হয়েছিল পাড়া-প্রতিবেশীদের। টিভির পর্দায় রাজকুমারের ছবি দেখার পরে তাঁরা নিশ্চিত হয়ে যান, মালঞ্চর ‘সেভেন হিলস’ বাড়ির ছোট ছেলেই এই কিডনি পাচার চক্রের পাণ্ডা।
বছর পনেরো ধরে এই বাড়িতেই থাকে রাও পরিবার। রাজকুমারের বাবা ভেঙ্কট রাও খড়্গপুরে ব্যাঙ্ক কর্মী ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও রয়েছেন রাজকুমারের দুই দাদা রবিকুমার ও শশীকুমার। রবি অটো চালান, শশী নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করেন।
রাজকুমারের মা রাম বাঈ অবশ্য জানালেন, ছোট ছেলে বছর সাতেক আগে খড়্গপুরের এই বাড়ি ছেড়েছে। তখন সে জানিয়েছিল, হায়দরাবাদে একটি সংস্থায় কাজ পেয়েছে। গত বছর ২৯ ডিসেম্বর ভেঙ্কট রাও যখন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন, তখনই শেষ বার খড়্গপুরে এসেছিল রাজকুমার। পরিজনদের অবশ্য দাবি, রাজকুমারের কীর্তিকলাপের কথা তাঁদের অজানা। এমনকী সে যে রাজারহাটে বাড়ি বানিয়েছে, বিয়ে করেছে— এ সবই তাঁরা জেনেছেন রাজকুমার গ্রেফতার হওয়ার পরে টিভি দেখে। তার মা রাম বাঈ বলেন, ‘‘ফোনে ছোট ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। মাঝেমাধ্যে পাঁচ-সাত হাজার টাকাও পাঠাত। এর বেশি আর কিছু জানি না।’’
শুধু বাড়ির নাম নয়, রাজকুমারের বড়দা রবির অটোর সামনেও দেখা গেল জ্বলজ্বল করছে ‘সেভেন হিলস্’ লেখাটা। শশী জানালেন, অন্ধ্রপ্রদেশে বালাজি মন্দিরের জায়গাটির নাম সপ্তগিরি। সেখান থেকে বাবা বাড়ির এই নাম রেখেছিলেন। রবিও অটোয় সে কথা লিখেছেন। তবে রাজকুমার যে একই নামে রাজারহাটে বাড়ি করেছে, সে কথা তাঁরা জানতেন না বলেই শশীর দাবি।
রাও পরিবারের আশঙ্কা, পুলিশ এ বার তাদের কাছেও আসবে। পড়তে হবে জেরার মুখে। তবে রাম বাঈ বলেন, ‘‘আমাদের গোপন করার কিছু নেই। যা জানি বলব।’’ নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন
নিজের কিডনি বেচেই পাচার চক্রের চাঁই
অ্যাপেনডিক্সের যন্ত্রণা বলে কিডনি কেটে সাফ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy