কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ফাইল চিত্র।
সমন থেকে অব্যাহতির আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তাই একবালপুরে তফসিলি জাতির উপরে নিপীড়নের অভিযোগের ঘটনায় শুক্রবার দিল্লিতে জাতীয় তফসিলি জাতি কমিশনের সামনে হাজিরা দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সিপি-র সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) মুরলীধর শর্মা এবং রাজ্যের সচিব পদের এক অফিসার।
সিপি এবং তাঁর সঙ্গীরা এ দিন সকালেই ওই কমিশনের সদর দফতরে হাজির হন। তাঁদের হাজিরা এবং শুনানির পরে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অরুণ হালদার বলেন, ‘‘একবালপুরের ওই ঘটনা নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ পশ্চিমবঙ্গের আধিকারিকেরা মেনে নিয়েছেন।’’ তবে রাত পর্যন্ত কলকাতার পুলিশ কমিশনারের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। লালবাজার জানিয়েছে, একবালপুরের ঘটনায় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে কমিশন কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিল। এ দিন সেই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন।
অভিযোগ, একবালপুরের গোলমালে তফসিলি জাতিভুক্তদের উপরে নিপীড়ন হয়েছিল। তাই কমিশনে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের এই হাজিরা। তবে বিষয়টি খুব একটা মসৃণ হয়নি বলেই খবর। ঘটনার সময় একবালপুরে উপস্থিত এক পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করারও সুপারিশ করেছে কমিশন। ওই ঘটনার পরে কমিশনের কর্তারা কলকাতায় এসেছিলেন। অভিযোগ, তখন পুলিশ কমিশনারকে তলব করা সত্ত্বেও তিনি দেখা করেননি। পরে দিল্লি থেকে পুলিশ কমিশনারের কাছে নোটিস পাঠানো হয়। তাতেও সাড়া দেননি তিনি। কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান জানান, নোটিসে সাড়া না-দেওয়ায় পরে সমন জারি করা হয়, কিন্তু তাতেও প্রথমে সাড়া মেলেনি।
সমন জারির পরে হাজিরা না-দিলে নিয়ম অনুযায়ী পরোয়ানা জারি হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, সমন থেকে যাতে অব্যাহতি মেলে তার জন্য কলকাতা পুলিশ আর্জি জানিয়েছিল। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। বৃহস্পতিবার পরোয়ানা জারির ব্যাপারে লালবাজারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তার পরেই এ দিন তড়িঘড়ি দিল্লি যান পুলিশ কমিশনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy