বড়দিন এবং নতুন বছরে বাঙালি জমিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে বলেই দাবি হাওয়া অফিসের। ফাইল ছবি।
বৃহস্পতির তুলনায় শুক্রতে কিছুটা কমল শহরের তাপমাত্রা। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। শুক্রবার তা নামল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। শহরে শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। পাশাপাশি সারা দিন ধরে শহরের আকাশ আংশিক ভাবে মেঘে ঢাকা থাকবে বলে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর। যদিও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’। গভীর নিম্নচাপটি ইতিমধ্যেই আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। আর ক্রমেই তা শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের দিকে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃহস্পতিবার থেকেই চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জু়ড়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, ‘মনদৌস’-এর প্রভাবে বাংলায় শীত কমবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরের আকাশে মেঘ থাকার কারণে বাংলায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে বাধা পাবে। ফলে তাপমাত্রা আহামরি খুব একটা কমবে না। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কাটলেই কনকনে শীত পড়তে চলেছে পশ্চিমবঙ্গে। বড়দিন এবং নতুন বছরে বাঙালি জমিয়ে শীত উপভোগ করতে পারবে বলেই দাবি হাওয়া অফিসের। বাঙালি মজবে নতুন গুড়ের রস আস্বাদনেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy