মহিলা পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারা এবং হেনস্থার অভিযোগে এক আইনজীবী-সহ দু’জনকে গ্রেফতারকরল বড়তলা থানার পুলিশ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাতিবাগান এলাকায়। রবিবার ওই দুই অভিযুক্তকে কোমরে দড়ি পরিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতে নিয়ে আসাহয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবীদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় আদালত চত্বরে। কেন পুলিশ কোমরে দড়ি পরিয়ে অভিযুক্তদের আনল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দেন আইনজীবীদের একাংশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিবেক জয়সওয়াল এবং অভিষেক সাউ। চিনার পার্কের বাসিন্দা বিবেক ব্যাঙ্কশাল আদালতেরআইনজীবী। অভিষেক তাঁর বন্ধু। শনিবার রাতে হাতিবাগান এলাকায় একটি বন্ধ মদের দোকানের সামনে চেঁচামেচি হওয়ায় এক মহিলা পুলিশকর্মী সেখানে গেলে বিবেক এবং অভিষেক তাঁকে ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ।
এ দিন ধৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। বিবেক এবং অভিষেকের আইনজীবী মহম্মদ ইজাজ কাশিম দাবি করেন, ‘‘দু’জনকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামানোর পরে দেখি, তাঁদের কোমরে দড়ি পরানো। সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রতিবাদ জানাই। কোনও অভিযুক্তকেই এখন দড়ি পরিয়ে আনা যায় না।’’ দুই অভিযুক্তের আর এক আইনজীবী মুকেশকুমার পাণ্ডে বলেন, ‘‘বিষয়টি আমরা লিখিত ভাবে আদালতকে জানিয়েছি। সেই সঙ্গে আদালত চত্বরের আজকের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং বড়তলা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করে আদালতে পেশ করার আর্জিও জানানো হয়েছে।’’ বিবেক এবং অভিষেককে এ দিন জামিন দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি ৮ অক্টোবর।
দুই অভিযুক্তকে আদালতে দড়ি পরিয়ে আনার বিষয়ে বড়তলা থানার এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘অভিযুক্তেরা মদ খেয়ে মহিলা পুলিশকর্মীকে হেনস্থা করেছেন। তা ঢাকার জন্য এই সব বলা হচ্ছে। পুলিশ ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করতে পারে এবং তা করেছে।’’ জামিন পাওয়ার পরে বিবেক এবং অভিষেকের দাবি, ‘‘থানা থেকেই দড়ি পরিয়ে আমাদের পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।’’ তাঁদেরবিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিবেক বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমরা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলাম। ভিড়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে অভিষেকের সঙ্গে ওই মহিলা পুলিশকর্মীর ধাক্কা লাগে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)