E-Paper

কী ভাবে ধসল বহুতলের ইটের গাঁথনি, স্পষ্ট নয় দু’দিন পরেও

তবে সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ওই বহুতল তৈরির সময়ে অনুমোদিত নকশার বাইরে সামান্য কিছু হেরফের করা হয়েছিল। যদিও তার সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৫৩
ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা।

ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। —ফাইল চিত্র।

ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু বিরাটির নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে কী ভাবে ইটের গাঁথনি ধসে পড়ল, সেই রহস্য এখনও ভেদ হল না। গত ৩০ মার্চ রাতে উত্তর দমদম পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ বসু রোডে ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় কেয়া শর্মাচৌধুরী নামে এক মহিলার। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তিন প্রোমোটার এবং এক ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি প্রাথমিক রিপোর্টও তৈরি করেছে পুরসভা। তা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। যদিও সেই রিপোর্টে কী আছে, সে সম্পর্কে সরকারি ভাবে পুরসভার তরফে কিছু জানানো হয়নি।

তবে সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, ওই বহুতল তৈরির সময়ে অনুমোদিত নকশার বাইরে সামান্য কিছু হেরফের করা হয়েছিল। যদিও তার সঙ্গে এই দুর্ঘটনার কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই সঙ্গে বহুতলটি নির্মাণে যে সব ইমারতি দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলির মানও খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা। তাতে বিশেষ কিছু গোলমাল পাওয়া যায়নি। তবে পুরসভা সূত্রের খবর, এই বিষয়গুলি আরও যাচাই করে দেখা হবে।

স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, যদি ইমারতি সামগ্রীর গুণগত মানে আপাত ভাবে কোনও গোলমাল না-ই থাকবে, তা হলে কী ভাবে দু’দিনের মধ্যে ওই ইটের গাঁথনি ধসে যেতে পারে?

সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে একটি জল্পনা বিভিন্ন মহলে ছড়িয়েছিল যে, ইটের গাঁথনিতে হেলান দিতে গিয়ে কিংবা কোনও ভাবে ধাক্কা লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেই বিষয়টি পুলিশি তদন্তের পরেই স্পষ্ট হবে।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ঘটনার কারণ যা-ই হোক, প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মৃতা কেয়ার পরিবারের সঙ্গে সোমবার দেখা করেন বিদায়ী সাংসদ তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান বিধান বিশ্বাস ও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা। মৃতার পরিজনেরাও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শের পাশাপাশি নির্মাণ নিয়ে পুরসভাকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন সৌগত।

পরে পুর চেয়ারম্যান জানান, পুর আধিকারিকেরা ওই নির্মীয়মাণ বহুতলটি পরিদর্শন করেছেন। সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। যদিও এ দিনও বহুতলটি ঘিরে রাখার ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। তবে পুরসভা জানিয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যেই বহুতলটির চার পাশ ঘিরে দেওয়া হবে। আপাতত দুর্ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Birati Death Accident

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy