রোজ সকালে স্টেশনে এসে জড়ো হতেন তাঁরা। সেটাই ছিল দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। স্টেশন চত্বর সাফসুতরো রাখাই ছিল তাঁদের কাজ। কিন্তু গত পাঁচ মাস ধরে তাঁরা কর্মহীন। বারাসত স্টেশনের ২২ জন ঠিকা সাফাইকর্মীকে তাই চরম দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। রেল নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না করায় কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা। বাধ্য হয়ে তাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাগান-নর্দমা সাফাইয়ের কাজ করছেন। তা-ও সব দিন কাজ জুটছে না। আবার কাজ শুরুর দাবিতে স্টেশন চত্বরের সামনে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন ওই সাফাইকর্মীরা।
প্ল্যাটফর্মের আশপাশ, রেললাইন, সামনের নিকাশি নালা, সাবওয়ে, ফুট ওভারব্রিজ-সহ স্টেশন সংলগ্ন চত্বর পরিষ্কার রাখার কাজ রেল কর্তৃপক্ষের। বারাসত বড় স্টেশন বলে সেই কাজে বেশি কর্মীর দরকার। ওই স্টেশনে রেলের নিজস্ব আট জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। কর্মীর তুলনায় কাজ বেশি বলে প্রায় সব স্টেশনেই ঠিকা কর্মী নিয়োগ করে রেল।
দরপত্রের মাধ্যমে এক-এক বার এক-এক জন ঠিকাদার নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সাফাইয়ের ওই দায়িত্ব পান। কিন্তু ঠিকা কর্মীদের কোনও বদল সাধারণত হয় না। বছর দুয়েক আগে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করে জানায় যে, ঠিকাদার বদলালেও ঠিকা কর্মীদের বদলানো যাবে না। বারাসতের ওই ২২ জন কর্মী দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করছেন। কেউ কেউ ১৫-১৬ বছর ধরে এই কাজে নিযুক্ত।