প্রতীকী ছবি।
রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত একই জায়গায় ঘটল তিনটি দুর্ঘটনা। যাতে এক জন মারা গেলেন, এক পুলিশ আধিকারিক হাত ভাঙলেন এবং তিন বাইক-আরোহী জখম হলেন।
প্রথম ঘটনায় রবিবার রাতে বেপরোয়া ভাবে ছুটে চলা একটি গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের রেলিংয়ে। ধাক্কার অভিঘাতে খুলে যায় গাড়ির সামনের বাঁ দিকের দরজা। আর সেখান দিয়ে ছিটকে বেরিয়ে রেলিং ভেঙে উড়ালপুলের নীচে গিয়ে পড়েন এক আরোহী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মহম্মদ মিরাজ (২০) নামে সেই আরোহীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গার্ডেনরিচেই তাঁর বাড়ি।
দ্বিতীয় ঘটনায় সোমবার দুপুরে একটি মোটরবাইকে যাচ্ছিল তিন জন সওয়ারি। কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না। যা দেখে বাইকটি আটকাতে যান এক পুলিশ আধিকারিক। তাঁকে দেখে বাইকচালক গতি বাড়িয়ে দেয়। আর তাতেই ভারসাম্য রাখতে না পেরে রাস্তায় ছিটকে পড়েন ওই আধিকারিক, পশ্চিম বন্দর থানার ওসি সুবর্ণ দত্তচৌধুরী।
গার্ডেনরিচ উড়ালপুলে ওঠার আগে ব্রুক লেনের সংযোগস্থলে ঘটনাটি ঘটে। সুবর্ণবাবু একবালপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বাঁ হাতের হাড় ভেঙেছে। পায়েও আঘাত লেগেছে। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে বাইকচালকের খোঁজ চলছে। পুলিশ জানায়, এ দিন ওই এলাকায় নাকা তল্লাশি চলছিল। মোটরবাইকটি ট্র্যাফিক আইন অমান্য করে রিমাউন্ট রোড দিয়ে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ঘটনাটি ঘটে।
তৃতীয় ঘটনায় এ দিনই বিকেলে ওই উড়ালপুলের উপরে অন্য একটি বেপরোয়া গতির মোটরবাইক রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। তাতে বাইকে থাকা তিন জন জখম হন। এ ক্ষেত্রেও কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। বেপরোয়া মোটরবাইক আটকাতে গার্ডেনরিচ উড়ালপুলের দু’দিকেই পুলিশ থাকে। তা সত্ত্বেও ওই উড়ালপুলে হেলমেটহীন বাইকচালকেরা কী ভাবে উঠে যাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, উড়ালপুলের সামনে থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের যৌথ নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy