E-Paper

নবমীতে ডুবে মৃত্যু তিন জনের

শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলে ডুবে মৃত্যু হল তিন জনের। তিনটি ঘটনাই প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে এক প্রৌঢ়, এক বৃদ্ধা ও এক যুবক রয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৩
An image of Drowning

—প্রতীকী চিত্র।

নবমীর সকালে শহরের বিভিন্ন এলাকায় জলে ডুবে মৃত্যু হল তিন জনের। তিনটি ঘটনাই প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। মৃতদের মধ্যে এক প্রৌঢ়, এক বৃদ্ধা ও এক যুবক রয়েছেন।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সকালে উত্তর বন্দর থানা এলাকার পি কে ঠাকুর ঘাটে গঙ্গায় ডুবে যান সরযূপ্রসাদ গুপ্ত (৬০) নামে এক প্রৌঢ়। তিনি জোড়াবাগান থানা এলাকার রঘুনন্দন লেনের বাসিন্দা। ওই এলাকায় তাঁর মিষ্টির দোকান রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, ঘাটে স্নান করতে নেমে পা পিছলে পড়ে যান প্রৌঢ়। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে গঙ্গায় নামিয়ে তল্লাশি চালানো হলে আধ ঘণ্টা পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সরযূপ্রসাদের পরিবার জানিয়েছে, প্রতিদিন ভোরে তিনি গঙ্গায় স্নান করতে যেতেন। এ দিন বহু ক্ষণ পরেও না ফেরায় পরিবারের লোকেরা চিন্তা করতে শুরু করেন। সরযূর ছেলে রাহুল জানান, তাঁরা জেনেছেন, ওই সময়ে গঙ্গায় জোয়ার এসেছিল। তাতেই তাঁর বাবা ভেসে যান।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে সকাল ৮টা নাগাদ। হরিদেবপুর থানার দাসপাড়া রোডের একটি পুকুরে এক বৃদ্ধার দেহ ভাসতে দেখা যায়। পুলিশ গিয়ে ছায়া সমাদ্দার (৭০) নামে ওই বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় ফোন করেছিলেন বৃদ্ধার মেয়ে শান্তা গঙ্গোপাধ্যায়। গত তিন মাস ধরে ছায়া তাঁর মেয়ের কাছেই ছিলেন। শান্তা পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন ভোরে তাঁর সঙ্গে মায়ের শেষ বার কথা হয়। সেই সময়ে শান্তা প্রাতর্ভ্রমণে বেরোচ্ছিলেন। বাড়ি ফিরে তিনি মাকে দেখতে পাননি। এর পরে খোঁজাখুঁজির শেষে বাড়ির কাছে পুকুরে মায়ের দেহ ভাসতে দেখেন।

তৃতীয় ঘটনাটি সরশুনা থানা এলাকার। সেখানে মহেশতলার কাছে একটি পুকুর থেকে আটাশ বছরের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাহুলকুমার ঠাকুর (২৮)। দেহটি পুকুরে ভাসতে দেখে স্থানীয়েরা সরশুনা থানায় ফোন করে খবর দেন। পুলিশ এসে রাহুলের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, রাহুল কোনও কাজ করতেন না। তিনটি ঘটনার মধ্যেই প্রাথমিক ভাবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি বলেই দাবি পুলিশের। তবুও, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আপাতত সেই রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Drowning Death Kolkata police investigation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy