Advertisement
E-Paper

Kolkata Airport: মুখ ঘোরাল তিন উড়ান, দীর্ঘ অপেক্ষায় হয়রানি

এমনিতেই সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দর থেকে শহরে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছিলেন যাত্রীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৩৫
জল থইথই অবস্থা বিমানবন্দর চত্বরেরও। দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমান। সোমবার।

জল থইথই অবস্থা বিমানবন্দর চত্বরেরও। দাঁড়িয়ে রয়েছে বিমান। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।

মুষলধারে বৃষ্টির জেরে সোমবার সকালের দিকে উড়ান চলাচলে ব্যাঘাত না ঘটলেও, দুপুরে আকাশ কালো করে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টিতে শহর থেকে মুখ ঘোরাল তিনটি উড়ান।

কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ইম্ফল ও হায়দরাবাদ থেকে আসা ইন্ডিগোর দু’টি উড়ান এ দিন শহরে নামতে না পেরে ভুবনেশ্বরে চলে যায়। মুম্বই থেকে আসা স্পাইসজেটের বিমান বারাণসী উড়ে যেতে বাধ্য হয়। এর ফলে দুপুরের পরে বিরাট সংখ্যক যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন।

এমনিতেই সকাল থেকে প্রবল বর্ষণে বিমানবন্দর থেকে শহরে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছিলেন যাত্রীরা। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সকাল থেকে যে সব যাত্রী কলকাতায় এসে নেমেছিলেন, তাঁরা টার্মিনালের বাইরে বেরিয়ে ট্যাক্সি বা অ্যাপ-ক্যাব পেতে সমস্যায় পড়েন। বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাঁদের।

বিমানবন্দরের এক কর্তা জানান, এপ্রন এলাকায় (যেখানে বিমান এসে দাঁড়ায়) বিক্ষিপ্ত ভাবে জলও জমেছে। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, অল্প বৃষ্টিতেই ৫৮ এবং ৫৯ নম্বরে গোটা চারেক পার্কিং বে-তে জল জমে যায়। জলমগ্ন হয়ে পড়ে কৈখালি লাগোয়া বিমানবন্দরের ভিতরের এলাকাও। বিমানবন্দরের পাঁচিল লাগোয়া বাইরের এলাকাতেও যে হেতু জল জমে ছিল, তাই পাম্প করেও সেই জল বার করতে সমস্যা হয়।

সূত্রের খবর, বেশ কিছু যাত্রী এ দিন সময়মতো বিমানবন্দরে পৌঁছতে না পারায় উড়ান ধরতে পারেননি। বিমানবন্দরের অধিকর্তা সি পট্টাভি বলেন, “আমার বাসস্থান বিমানবন্দরের খুব কাছে। তা-ও আমার আজ অফিসে পৌঁছতে ১৫ মিনিট লেগেছে। যেখানে অন্য দিন খুব বেশি হলে মিনিট তিনেক লাগে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের অসুবিধা সহজেই অনুমেয়।”

ব্যবসার কাজে হায়দরাবাদ যাওয়ার জন্য সকালে বাগুইআটির বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুব্রত সরকার। তিনি জানালেন, জোড়ামন্দির থেকে বিমানবন্দর— এই দূরত্বটুকু পৌঁছতেই প্রায় এক ঘণ্টা লেগেছে। সুব্রতের কথায়, “হলদিরামের কাছেই ৩৫ মিনিট আটকে ছিলাম। চার দিকে জল।’’ সওয়া একটায় উড়ান ছিল সুব্রতের। ঠিক ছিল, হায়দরাবাদ থেকে যে উড়ান শহরে আসবে, সেটাই তাঁদের নিয়ে যাবে। সুব্রত বলেন, “উড়ান ভর্তি ছিল।’’ হায়দরাবাদ থেকে আসার সময়ে সেই উড়ানই কলকাতায় নামতে না পেরে ভুবনেশ্বর চলে যায়। ফলে, সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বিমানবন্দরে বসে থাকতে হয়।

কিছু উড়ান এ দিন ১৫ মিনিট থেকে আধ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে বলেও বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। তা ছাড়া, কোনও বিমান নামার পরে সেটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, সাফাই, মালপত্র তোলা-নামানো করতে হয় খোলা আকাশের নীচে। বৃষ্টির কারণে সেই কাজ করতেও তুলনায় সময় লেগেছে বেশি। সেটাও বিমান ছাড়ার দেরির একটি কারণ বলে বিমানবন্দরের কর্তারা জানান।

এখন কলকাতা থেকে বিমানযাত্রীদের আনাগোনা বেড়েছে। রবিবারই কলকাতা থেকে প্রায় ৩২ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এ দিনও ১৩২টি উড়ান অন্য শহরে উড়ে গিয়েছে। সেখানে যাত্রী-সংখ্যা অবশ্য কিছুটা কম ছিল। তবে বৃষ্টির জন্য উড়ান বাতিলের খবর বিমানবন্দর সূত্রে মেলেনি।

এর আগে একটু বৃষ্টিতেই টার্মিনালের ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ত। সেটা এখন সারানোর ফলে জল পড়া অনেকটা কমেছে বলে বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে।

Kolkata Airport rainfall
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy