বেপরোয়া লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ল রাস্তার ধারের একটি গুমটিতে। জখম হয়েছেন তিন শ্রমিক। প্রতীকী ছবি।
রাতের শহরে বেপরোয়া লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢুকে পড়ল রাস্তার ধারের একটি গুমটিতে। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন তিন শ্রমিক। তাঁরা রাতে সেখানেই ঘুমোন। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ইএম বাইপাসে, সার্ভে পার্ক থানা এলাকার সিংহবাড়ির কাছে। জখম তিন জনের নাম রামপ্রসাদ সর্দার, হরিতোষ সর্দার এবং অমিত সর্দার। তাঁরা এলাকারই একটি নির্মীয়মাণ প্রকল্পে শ্রমিকের কাজ করেন। সকলেরই বাড়ি বসিরহাটে।
ওই তিন জনকে প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের আনা হয় এম আরবাঙুর হাসপাতালে। সেখানে রামপ্রসাদ ও অমিতের চিকিৎসা চলছে। হরিতোষকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, রাস্তার ধারের ওই গুমটিতে ধাক্কা মারার আগে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি অ্যাম্বুল্যান্সে ধাক্কা মেরেছিল লরিটি। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, রাত ৩টে নাগাদ রুবি মোড়ের দিকে যাচ্ছিল বেপরোয়া গতির ওই লরিটি। সিংহবাড়ির কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে সার্ভিস রোডে ঢুকে পড়ে লরিটি। সেখানেও বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় লরিটি সোজা ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশের একটি টিনের গুমটি ঘরে। সেখানে তখন ঘুমোচ্ছিলেন ছ’জন। তাঁদের মধ্যে তিন জন কোনও মতে বাইরে বেরিয়ে এলেও, লরির ধাক্কায় জখম হয়ে ভিতরে আটকে পড়েন রামপ্রসাদ, হরিতোষ ও অমিত।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই রাতে এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন সার্ভে পার্ক থানার ওসি তীর্থঙ্কর দে ও তাঁর বাহিনী। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান তাঁরা। দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে নজরে আসে, অমিত ভিতরে আটকে রয়েছেন। তাঁর পায়ের উপরে লরির চাকা উঠে গিয়েছিল। পুলিশকর্মীদের সাহায্যে ওই চাকা তুলে বার করা হয় অমিতকে।
তদন্তকারীরা জানান, ঘটনার পরেই চালক লরি ফেলে পালিয়ে যান। কী কারণে ওই দুর্ঘটনা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চলছে। পুলিশের অনুমান, চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy