E-Paper

বাইক নিয়ে খোলা নর্দমায় পড়ে মৃত্যু সরবরাহ কর্মীর

পুলিশ জানিয়েছে, খোলা নর্দমার ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বুকের উপরেই পড়ে ছিল বাইকটি। পুলিশ মনে করছে, কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই নালায় পড়ে যান সঞ্জয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:২৪
কেষ্টপুরের জোড়াখানা এলাকায় মেরামতির কাজের জেরে বেহাল অবস্থা রাস্তার। শুক্রবার।

কেষ্টপুরের জোড়াখানা এলাকায় মেরামতির কাজের জেরে বেহাল অবস্থা রাস্তার। শুক্রবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

খোলা নর্দমায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক মোটরবাইক চালকের। বৃহস্পতিবার রাতে বাগুইআটি থানার অন্তর্গত কেষ্টপুরের জোড়াখানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতের নাম সঞ্জয় সরকার (৪১)। পেশায় তিনি ছিলেন সরবরাহ কর্মী। পুলিশ জানিয়েছে, খোলা নর্দমার ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর বুকের উপরেই পড়ে ছিল বাইকটি। পুলিশ মনে করছে, কোনও ভাবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই নালায় পড়ে যান সঞ্জয়। রাত ৩টে নাগাদ সঞ্জয়ের পরিবার সেই খবর পায়।

মৃতের পরিবারের সদস্যেরা জানান, বৃহস্পতিবার সঞ্জয়ের ছুটি ছিল। রাতের দিকে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। রাত ১২টা নাগাদও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়। তার পর থেকেই ফোন বন্ধ ছিল। ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই গলির এক দিক নর্দমার কারণে খুবই সঙ্কীর্ণ। পরিবারের লোকজন মনে করছেন, নর্দমাটি ঢাকা থাকলে হয়তো সঞ্জয় বেঁচে যেতেন।

ওই জায়গাটি বিধাননগর পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভিতরে। এই ঘটনার পরে পুরসভার রাস্তা সারাইয়ের কাজের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ওই জায়গায় রাস্তার অবস্থা ঠিক নেই। তার উপরে যে জায়গায় কাজ হচ্ছে, সেই অংশটি আটকানো ছিল না। এমনকি, রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো নেই বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের ধারণা, খারাপ রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ব্যক্তি বাইক নিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি ঝুঙ্কু মণ্ডলের দাবি, সারাইয়ের কাজের জন্য রাস্তা বন্ধ রাখা হলেও লোকজন সেখান দিয়েই যাতায়াত করেন। তবে, খোলা নালাটি ঢেকে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। পুরপ্রতিনিধি বলেন, ‘‘এমন যে ঘটতে পারে, কেউ আন্দাজও করেননি। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নালাটি ঢেকে দেওয়া হবে। ওই রাস্তা কাজের জন্য বন্ধ করা হলেও স্থানীয় লোকজন সেখান দিয়েই যাতায়াত করেন।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Bike kestopur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy