Advertisement
E-Paper

চলন্ত ক্যাবে লুটের ঘটনায় ধৃত চার

ওই অ্যাপ- ক্যাবে সওয়ার এক যাত্রীর মুখ-চোখ বেঁধে টাকা-গয়না লুট করে তাঁকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:০৩
কিনারা: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ সন্ধান পায় অ্যাপ-ক্যাবটির।

কিনারা: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ সন্ধান পায় অ্যাপ-ক্যাবটির।

ই এম বাইপাসের কাছে লস্করহাটে চলন্ত অ্যাপ-ক্যাব থেকে লুটের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল চার দুষ্কৃতীকে। শনিবার রাতে তাদের ধরে তিলজলা থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রাজু মাজি, সন্তোষ পোদ্দার, শেখ বিকি এবং অর্পণ সেন। এদের মধ্যে এক জন ক্যাবের চালক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ধৃত চালকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে ওই অ্যাপ-ক্যাব সংস্থা।

লুটের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে। ওই অ্যাপ- ক্যাবে সওয়ার এক যাত্রীর মুখ-চোখ বেঁধে টাকা-গয়না লুট করে তাঁকে মাঝ রাস্তায় নামিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রের খবর, আদতে ত্রিপুরার বাসিন্দা অঞ্জন বিশ্বাস হোটেল ব্যবসার সূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাঁর ই এম বাইপাসে দু’টি হোটেল রয়েছে। ঘটনার রাতে তিনি কাজ থেকে উব্‌র ধরে কসবার ফ্ল্যাটে ফিরছিলেন। পুলিশকে অঞ্জনবাবু অভিযোগে জানিয়েছিলেন, গাড়ির সামনে এক জন যাত্রী ছাড়া পিছনে দু’জন ছিলেন। পিছনের আসনে বাঁ দিকের জানলার ধারে বসেন তিনি। লস্করহাটের কাছে গাড়িটি আসতেই তাঁর পাশের আসনের যাত্রী জরুরি কারণে গাড়িটি দাঁড় করান। এর পরে ওই ব্যক্তি গাড়িতে উঠে অঞ্জনবাবুকে মাঝের আসনে সরতে বলেন। পুলিশকে লিখিত অভিযোগে অঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, গাড়ি ছাড়ার পরে বাকিরা মিলে তাঁর দু’টি হাত ও চোখ বেঁধে দেয়। তাঁর গলা থেকে সোনার চেন খুলে নিয়ে ব্যাগে থাকা পঁচিশ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। দু’টি এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি, হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে দু’টি এটিএম কার্ডের পিন নম্বর হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে পুলিশকে জানান ওই ব্যবসায়ী।

লুটপাটের পরে মাঝরাস্তায় তাঁকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। ওই রাতেই অঞ্জনবাবু তিলজলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। ওই রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয় গাড়িটি এবং দুষ্কৃতীদের। সেই মতো শনিবার রাতে ক্যাবচালক-সহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়িটিও আটক করা হয়েছে। খোয়া যাওয়া জিনিস উদ্ধার করা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে রাহাজানির মামলা রুজু হয়েছে। বার বার অপরাধমূলক কাজে সংস্থার নাম জড়ানো নিয়ে সতর্ক উব্‌র কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে ওই চালককে সংস্থা আর অন্তর্ভুক্ত করবে না। পাশাপাশি, পুলিশকে তদন্তের কাজে তারা পূর্ণ সহযোগিতা করবে।

Uber Theft
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy