E-Paper

চোখে স্প্রে করে, গায়ে জ্যান্ত সাপ ছুড়ে গলার হার ছিনতাই

অনির্বাণকে বলেন, “সম্বিত ফিরতেই ওরা বালতিতে থাকা দুটো জ্যান্ত সাপ আমার দিকে ছুড়ে দেয়। ইতিমধ্যেই আমার গলার হারটা ওরা ছিঁড়ে নিয়েছিল। সাপ ছুড়ে দিতে আতঙ্কে আমি কিছুটা পিছিয়ে আসি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৩ ০৭:০৮
An image of a gold chain

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সাধুর ভেক ধরে আসা চার দুষ্কৃতী দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক যুবকের চোখে রাসায়নিক স্প্রে করে এবং গায়ে সাপ ছেড়ে দিয়ে তাঁর গলায় থাকা সোনার হার ছিনতাই করে চম্পট দিল। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে নিউ আলিপুর পেট্রল পাম্পের কাছে বুড়োশিবতলায়। অনির্বাণ দাস নামে ওই যুবকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে বেহালা থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিউ আলিপুর পেট্রল পাম্প এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দা, বছর ত্রিশের অনির্বাণ এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ পার্ক স্ট্রিটে তাঁর অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন। বুড়োশিবতলার এস এন রায় রোডের কাছে একটি গলি দিয়ে তিনি যখন হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন গেরুয়া কাপড় ও মাথায় লাল পাগড়ি পরা চার জন সাধুর বেশে তাঁর দিকে এগিয়ে আসে। অনির্বাণের কথায়, ‘‘ওই চার জন আমাকে বলতে থাকে, ১০ টাকা দাও। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করবেন। ওদের কথা শুনে আমি ১১ টাকা দিই।’’

টাকা নেওয়ার পরে ওই চার জন অনির্বাণকে বলে, তাঁর গলার হার তাদের হাতের বালতিতে থাকা ঠাকুরের মূর্তিতে স্পর্শ করাতে। অনির্বাণ সে কথায় বিশ্বাস করে তাঁর মাথা বালতিতে থাকা মূর্তির দিকে ঝোঁকান। তাঁর কথায়, ‘‘মাথা ঝোঁকাতেই ওরা আমার চোখেমুখে বালতি থেকে জল ছেটাতে থাকে। ওই জলে কোনও রাসায়নিক মেশানো থাকায় সঙ্গে সঙ্গে আমি চোখে অন্ধকার দেখি। সম্বিত ফিরতেই ওরা বালতিতে থাকা দুটো জ্যান্ত সাপ আমার দিকে ছুড়ে দেয়। ইতিমধ্যেই আমার গলার হারটা ওরা ছিঁড়ে নিয়েছিল। সাপ ছুড়ে দিতে আতঙ্কে আমি কিছুটা পিছিয়ে আসি। তখন ওরা একটি ট্যাক্সিতে চেপে চম্পট দেয়।’’

অনির্বাণ বলেন, ‘‘ওরা আমার চোখেমুখে স্প্রে করার খানিক পরে জ্ঞান ফিরলেও তখনও আমি বেশ দুর্বল ছিলাম। সেই সঙ্গে বমির ভাব ছিল। তাই ওদের আমি ধাওয়া করতে পারিনি।’’ এ দিন ঘটনার পরে অনির্বাণ প্রথমে নিউ আলিপুর থানায় যান। কিন্তু ঘটনাস্থল বেহালা থানা এলাকার অন্তর্গত হওয়ায় তিনি বেহালা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই যুবকের কাছ থেকে যাবতীয় অভিযোগ পেয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

gold chain Miscreants Robbery

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy