প্রতীকী ছবি।
মাঝেমধ্যে ধরপাকড় সত্ত্বেও মাদক পাচারে যে রাশ টানা যাচ্ছে না, তা আবারও প্রমাণিত হল। সম্প্রতি হাওড়া স্টেশন থেকে কোকেন-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার পরে কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের মাদক পাচারের অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। শনিবার রাতে নিউ টাউনের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬৫ গ্রাম কোকেন। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে একটি গাড়ি এবং মোটরবাইক। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই মাদকের বাজারদর প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃতদের নাম ঋষি সাগর, রাহুল সিংহ, রিকি দত্ত, রাহুল দত্ত, সন্টি সিংহ, অভিষেক ঠাকুর এবং অবিনাশ কুমার। এদের মধ্যে অবিনাশ মুম্বই থেকে ওই মাদক নিয়ে এসেছিল। শুক্রবার রাতে সেই মাদক সংগ্রহ করার জন্য বাকিরা নিউ টাউনের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের রবিবার হাওড়া আদালতে তোলা হয়েছে।
এসটিএফের এক অফিসার জানান, গত ২৯ অগস্ট হাওড়া স্টেশন থেকে কোকেন-সহ মহেশ প্রসাদ এবং আরশি সিদ্দিকী নামে দু’জনকে ধরা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অবিনাশ ওই মাদক মুম্বই থেকে এনে বাকিদের হাতে তুলে দেবে। গোয়েন্দারা জানান, ধৃতদের মধ্যে রিকি এবং রাহুল কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা। বাকি অভিযুক্তেরা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও তাদের আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আগরায়।
প্রাথমিক ভাবে গোয়েন্দারা জেনেছেন, মুম্বই থেকে এই মাদক এনে শহরের যৌনপল্লি ছাড়াও বিভিন্ন পানশালায় এবং ব্যক্তিগত পার্টিতে তা সরবরাহ করত অভিযুক্তেরা। তদন্তকারীদের ধারণা, পুলিশের নজর এড়াতে কম পরিমাণে কোকেন জাতীয় মাদক ট্রেনে এই রাজ্যে নিয়ে আসছে কারবারিরা। যা পরে শহরের কিছু পানশালায় এবং যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে নিজেদের পরিচিত ক্রেতা ছাড়া কারও কাছে মাদক বিক্রি করত না অভিযুক্তেরা। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা ওই মাদক ব্যবহারকারীদের তালিকা উদ্ধার করেছেন। তাঁদের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ রাখত কারবারিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy