ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি-সহ ৯৫ জন আইএসএফ সমর্থককে বৃহস্পতিবার জামিন দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। বুধবার ধর্মতলার কর্মসূচি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেছিল হেয়ার স্ট্রিট এবং বৌবাজার থানার পুলিশ। নওশাদ-সহ ৮৪ জনকে গ্রেফতার করে হেয়ার স্ট্রিট থানা। বাকি ১১ জনকে বৌবাজার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। ধৃতদের মধ্যে সরকারি স্কুলের শিক্ষক, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীও ছিলেন।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে নওশাদ বলেন, ‘‘এই লড়াই চলবে। জনগণ লড়াই করবে। এই লড়াই এখন সবে শুরু হয়েছে। জেলে আমাদের আটকে রাখতে পারবে না।’’ নওশাদদের মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার হাওড়ার আমতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুরে রাস্তা অবরোধ হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের বাইরেও কয়েকশো আইএসএফ সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভাঙড়ের বিধায়ককে বুধবার প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ওবিসি সংরক্ষণ-সহ বেশ কিছু দাবিতে বুধবার কলকাতার ধর্মতলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ‘কনস্টিটিউশন প্রোটেকশন ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন। নওশাদের নেতৃত্বে ওই কর্মসূচিতে মূলত আইএসএফ কর্মী-সমর্থকেরাই উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা মেট্রো চ্যানেলের কাছে ধর্নায় বসার কথা ছিল তাঁদের। তবে পুলিশের কাছ থেকে কোনও অনুমতি নেওয়া ছিল না। বিক্ষোভকারীরা সেখানে ত্রিপল টাঙানোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ওই ধস্তাধস্তির সময়েই নওশাদকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কেসি দাস মোড়ের সামনে থেকে পার্ক স্ট্রিটের দিকে ধাওয়া করা হয় বিক্ষোভকারীদের। সেই সময়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ সমর্থকেরা। নওশাদেরা সেই সময় ধর্নাস্থলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। আইএসএফ বিধায়কের অভিযোগ, এক পুলিশকর্মী তাঁকে ‘জোরে ঘুষি’ মেরেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে এই ধর্মতলাতেই আইএসএফের একটি কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল। সেই সময়ে নওশাদকে ৫৬ দিন জেল খাটতে হয়েছিল। একটার পর একটা মামলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এ বার অবশ্য এক দিনেই মুক্তি পেলেন পিরজাদা বিধায়ক।