E-Paper

ঋণ নিয়ে গোলমাল, যুবকের ছুরির আঘাতে মৃত ব্যাঙ্ককর্মী

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কাজিয়ালপাড়ায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের একটি ঋণদানের শাখা রয়েছে। সেটির বাইরেই ওই ব্যাঙ্ককর্মী খুন হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৪ ০৭:৫৩

—প্রতীকী চিত্র।

ঋণের টাকা আদায় করাকে কেন্দ্র করে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যাঙ্ককর্মী।

সোমবার রাজারহাটের কাজিয়ালপাড়ার ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম প্রসূন বিশ্বাস (৩৫)। তাঁর পেটে ছুরির আঘাত করা হয়। ব্যাঙ্কের সামনেই রাস্তার উপরে তিনি লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রসূনকে খুনের অভিযোগে মহম্মদ কবীর নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত যুবক ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায়।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, কাজিয়ালপাড়ায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের একটি ঋণদানের শাখা রয়েছে। সেটির বাইরেই ওই ব্যাঙ্ককর্মী খুন হন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ছুরি নিয়ে ব্যাঙ্কের ওই শাখার বাইরে প্রসূনের জন্য অপেক্ষা করছিল। প্রসূন বাইরে আসতেই ছুরি নিয়ে কবীর তাঁর উপরে চড়াও হয়। অভিযোগ, প্রসূনের পেটে সে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এর পরে প্রসূনের দেহে একাধিক আঘাত করে।

আকস্মিক এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যান ওই ব্যাঙ্কের লোকজন ও গ্রাহকেরা। তাঁরা জানান, উদ্ধার করার আগে প্রসূন রাস্তার উপরে কিছু ক্ষণ পড়ে ছিলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনগাঁর বাসিন্দা ওই ব্যাঙ্ককর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি মারা যান।

তদন্তকারীরা জানান, অভিযুক্ত মহম্মদ কবীর ওই সংস্থা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই ঋণ শোধ করা নিয়ে এক বছর ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে সমস্যা চলছিল। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে কবীর জানিয়েছে, ১১৬০ টাকা করে ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করত সে। প্রায় শোধ হয়ে এসেছিল ঋণ। কিন্তু তা-ও প্রসূন চাপ বাড়াচ্ছিলেন বলে দাবি। এমনকি, প্রসূন তাকে গালিগালাজ করতেন বলেও কবীর জানিয়েছে, এমনই দাবি পুলিশের। তাই এ দিন সে ছুরি নিয়ে ওই অফিসের বাইরে অপেক্ষা করতে থাকে। পুলিশ সূত্রের খবর, কবীর প্রসূনকে ফোন করে বাইরে ডেকেছিল। পরে সে পুলিশের কাছে আত্মসমপর্ণ করে বলেই সূত্রের খবর। তবে পরিকল্পনা করে শুধুই গালিগালাজের শোধ নিতে কবীর এমন করেছে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। তাই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Murder Death Bank Employee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy