Advertisement
E-Paper

ঘরে ঢুকতে দিচ্ছে না, অভিযোগ ছেলের

নীলগঞ্জ রোডের যে আবাসনে সুমিতবাবু থাকতেন সেখানকার আবাসিকেরা জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমনটা ঘটছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সোদপুর নীলগঞ্জ রোডের বাসিন্দা প্রৌঢ় সুব্রত ঘোষের। তাঁর একমাত্র ছেলে সুমিতবাবুর অভিযোগ, মৃতদেহ সৎকার করে আসার পর থেকে বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না তিনি। আত্মীয়স্বজনরাই বাধা দিচ্ছেন।

তাঁর দাবি, তাঁর কাছে এখন টাকাপয়সাও নেই। বন্ধুদের কাছ থেকে ধার করে সাদা ধুতি কিনেছিলেন। কিন্তু ঠান্ডায় গায়ে দেওয়ার চাদরটুকুও নিজের নেই। রবিবার খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সুমিতবাবুর জানান, তিনি তাঁর বাবার নামে থাকা ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারছেন না। শনিবার সৎকার করতে গেলে শ্মশানে তাঁর চশমাও ভেঙে দেওয়া হয়।

নীলগঞ্জ রোডের যে আবাসনে সুমিতবাবু থাকতেন সেখানকার আবাসিকেরা জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমনটা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দে বলেন, ‘‘ফ্ল্যাটের নীচেই সুমিতের একটি সাইবার কাফে থাকলেও তিনি বাউণ্ডুলে জীবন কাটান। এ জন্যই অনেকে তাঁকে পছন্দ করেন না। সুব্রতবাবু স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অবসাদে ভুগছিলেন। ছেলে ঠিকমতো দেখতো না তার বাবাকে।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে সুমিতবাবুর দাবি, বছর দেড়েক আগে তাঁর মা রাখীদেবী কিডনির সংক্রমণে মারা যান। তার পর থেকেই অবসাদে ভুগছিলেন সুব্রতবাবু। শুক্রবার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। পুলিশ ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়ে জানায়, আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

সুমিতবাবুর এক বন্ধু দীপ খাস্কেল সুব্রতবাবুর দেখাশোনা করতেন। তাঁর দাবি, ‘‘সুমিত একটু অগোছালো। সম্পত্তির কিছু বোঝে না। ওর বাবার ফ্ল্যাট ও দোকান হাতিয়ে নিতেই কিছু আত্মীয় পরিজন ও এলাকার কয়েক জন মিলে ষড়যন্ত্র করছে।’’ খড়দহ থানায় লিখিত অভিযোগ হলেও পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি পারিবারিক বিবাদের ফলে জট পাকিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Unnatural Death Sodepur FIR সোদপুর
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy