ময়াঙ্ক বশিষ্ঠ
নিউ টাউন থানা এলাকার কেষ্টপুরের তারুলিয়ায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে এক চিকিৎসকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করল বিধাননগর পুলিশ। রবিবারের ঘটনা। মৃতের নাম, ময়াঙ্ক বশিষ্ঠ (৩৩)।
পুলিশ জানায়, বাগুইআটির বাসিন্দা অনুপম ঘোষ পুলিশকে জানান, তারুলিয়ায় একটি আবাসনে তাঁর একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ওই ফ্ল্যাট তিনি দিল্লির বাসিন্দা ময়াঙ্ক বশিষ্ঠ নামে এক চিকিৎসককে ভাড়া দেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সেখানে ভাড়ায় থাকতে শুরু করেন ওই চিকিৎসক। গত শনি এবং রবিবার ফোনে যোগাযোগ করলেও ময়াঙ্কের সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন অনুপমবাবু। ইতিমধ্যে ফ্ল্যাট থেকে কটূ গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁকে জানান। রবিবার ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে কলিং বেল বাজালেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।
এর পরে অনুপমবাবুর কাছ থেকে খবর পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দরজা ভেঙে তারা ভিতরে ঢোকে। রান্নাঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায় ময়াঙ্ককে। পচাগলা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে তাঁর আত্মীয়দেরও খবর পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ময়াঙ্ক জানুয়ারি মাসে উল্টোডাঙায় একটি ব্যাথা নিরাময় ক্লিনিকে তিন মাসের পেন ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। সেই সংস্থার তরফে চিকিৎসক গৌতম দাস জানান, ৩১ মার্চ প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মাঝে মধ্যে বাড়ি যেতেন ময়াঙ্ক। গত সপ্তাহে এক-দু’দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকে কোনও যোগাযোগ নেই। ময়াঙ্কের সতীর্থদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, শুক্রবার পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপে সক্রিয় ছিলেন ওই চিকিৎসক। সোমবার তাঁরা ময়াঙ্কের খোঁজ নিতে গিয়ে ঘটনার কথা জানতে পারেন। ময়াঙ্ক কেষ্টপুরে একটি ব্যায়ামগারে নিয়মিত
শারীরচর্চা করতেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁর ঘর থেকে একটি ব্যাগে কিছু ওষুধ মিলেছে। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ওই চিকিৎসকের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয় পুলিশ। যদিও ঘটনার পিছনে সোমবার রাত পর্যন্ত রহস্যজনক কিছু মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy