মত্ত অবস্থায় মোটরবাইক চালানোর অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছিল ট্র্যাফিক পুলিশ। অভিযোগ, ওই যুবক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং কাজে বাধা দেন। তখন তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ওই যুবক যে মত্ত অবস্থায় রয়েছেন, তা প্রমাণিত হওয়ার পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে লক-আপে ঢোকায়। সেখানে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ভোরে, ঠাকুরপুকুর থানায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম নিত্যানন্দ ধর। বাড়ি হরিদেবপুর থানা এলাকার এম জি রোডে। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারীর কাজে বাধাদান, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে। তবে, শুক্রবার ওই যুবককে আলিপুর আদালতে তুলে জেল হেফাজতে রাখার জন্য পুলিশ আবেদন করলেও বিচারক তাঁকে জামিন দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার ভোরে, ঠাকুরপুকুর বাজারে। সেখানে কর্তব্যরত ঠাকুরপুকুর ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকেরা অভিযুক্তের বাইক আটকান। তিনি মত্ত অবস্থায় রয়েছেন, এমন সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে ব্রেথ অ্যানালাইজ়ারে ফুঁ দিতে বলা হয়। অভিযোগ, ওই যুবক তা করতে অস্বীকার করেন এবং পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এর পরেই তাঁকে ঠাকুরপুকুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে অসহযোগিতা করলেও পরে পুলিশের চাপে ওই পরীক্ষা করান অভিযুক্ত। তাতেই তাঁর মত্ত থাকার প্রমাণ মেলে। সূত্রের খবর, এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে লক-আপে ঢোকায় পুলিশ।
কিন্তু সেখানেও তিনি একটি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেন বলে অভিযোগ। পুলিশের একাংশের মতে, রাতের শহরে মত্ত চালকদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা এবং পুলিশকে নিগ্রহ করার মতো নানা অভিযোগ ওঠে। কিন্তু থানার লক-আপের সিসি ক্যামেরা ভেঙে দেওয়ার মতো ঘটনা আগে ঘটেনি বলেই দাবি তাঁদের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)