Advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Kolkata Police

জ্বর, বমির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু

শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাঁকে ১৪ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যেই যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়।

কালীশঙ্কর ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

কালীশঙ্কর ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ২০:৩২
Share: Save:

জ্বর, বমি এবং পেটের অসুখের মত উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর মৃত্যু হল কলকাতার একটি নার্সিং হোমে। কালীশঙ্কর ঘোষ নামে বছর ৪০-এর ওই পুলিশ কর্মী কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের প্রথম ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন তিনি।

কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার জোমজুড়ের বাসিন্দা ওই পুলিশ কর্মী বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। লালবাজার সূত্রে খবর, গত ৪ জুন তিনি ফুলবাগানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পেটে ব্যাথা, স্নায়ুর রোগ এবং স্পন্ডিলোসিসের চিকিৎসা হয় সেখানে। কয়েক দিন পর ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাঁকে ১৪ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এর মধ্যেই যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর কোভিড পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায় সেই সময়ে। কিন্তু তারপরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বিশ্রামে পাঠানো হয়।

ওই পুলিশ কর্মীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি ফেরার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন তিনি। তার মধ্যেই রবিবার সকালে হঠাৎই আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে ফুলবাগানের ওই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। এবার জ্বর বমি এবং পেটের অসুখের উপসর্গ নিয়ে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ তাঁদের ফোন করে ওই পুলিশ কর্মীর অসুস্থতার কথা জানান তাঁর স্ত্রী। ওই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পৌনে ১১ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত, গড়িয়া শ্মশানকাণ্ড নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল

আরও পড়ুন: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, আত্মহত্যা বলে সন্দেহ​

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, অসুস্থতা থাকা সত্বেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই পুলিশ কর্মীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করেননি। যদিও সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি কলকাতা পুলিশের কর্তাদের। তাঁদের অভিযোগ, ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারের তরফ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার খবর দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রথমবার তাঁর কোভিড পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE