Advertisement
০৫ অক্টোবর ২০২৪
Dengue Death

ডেঙ্গিতে মৃত্যু থেমে নেই, মারা গেলেন এসএসকেএমের পড়ুয়া-চিকিৎসক, এবং হাওড়ার বধূ

শারীরিক অবস্থা অতি দ্রুত সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় ভর্তির দু’ঘণ্টার মধ্যে অনিমেষকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে।

An image of Dengue Death

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:০৪
Share: Save:

রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু-মিছিল অব্যাহত। শুক্রবার সকালে মারা গিয়েছেন এসএসকেএমের এক পড়ুয়া-চিকিৎসক। তার আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, হাওড়ার
একটি বেসরকারি হাসপাতালে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা কত, তা জানাতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। তবে বেসরকারি সূত্রে, মশাবাহিত ওই রোগে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮।

জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের অস্থি বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের ওই পড়ুয়ার নাম অনিমেষ মাজি (২৭)। দিন পনেরো আগে শহরের ওই হাসপাতালে পড়তে আসেন তিনি। কৃষক পরিবারের ওই যুবক বাঁকুড়ার সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেছিলেন। স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ার জন্য পিজিতে ভর্তি হওয়া ওই যুবক ভবানীপুরের একটি মেসে থাকতেন। গত ২০ অক্টোবর তাঁর জ্বর আসে। ২২ অক্টোবর পরীক্ষা করালে ডেঙ্গি রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ২৫ অক্টোবর থেকে অনিমেষের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। দ্রুত রক্তচাপ নামতে থাকে। তখনই তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সূত্রের খবর, শারীরিক অবস্থা অতি দ্রুত সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় ভর্তির দু’ঘণ্টার মধ্যে অনিমেষকে আইটিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। দিতে হয় ভেন্টিলেশনে। এ দিন সকাল সাড়ে ৬টার পরে পরপর তিন বার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার পরে তিনি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম এবং ক্যাপিলারি লিকেজ, অর্থাৎ রক্তবাহী নালি থেকে রক্তরস বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্য দিকে, হাওড়ার তরুণী গৃহবধূর নাম নিতু সিংহ (৩১)। তিনি গোলাবাড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর স্বামী কমলেশ জানান, গত ১৪ অক্টোবর জ্বরে আক্রান্ত হন নিতু। জ্বর কিছুতেই না কমায় ১৭ অক্টোবর ওই তরুণীকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গি। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন, ১৮ অক্টোবর নিতুকে গোলাবাড়ির বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হয়ে পড়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু হয় নিতুর। তবে ওই তরুণীর ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও তথ্য নেই বলেই দাবি জেলা প্রশাসনের। হাওড়া পুরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ওই তরুণী আদতে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। তিনি কবে এখানে এলেন, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE