E-Paper

যাদবপুর মানে চন্দ্রস্পর্শী গবেষণাও, সূচনা নতুন ল্যাবের

চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’ কী ভাবে ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’ করেছে, তা দুই অধ্যাপক এ দিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বারান্দায় প্রোজেক্টরের সাহায্যে বোঝান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৩
An image of Jadavpur University

হাতেকলমে: ‘বিক্রম’-এর চন্দ্রাভিযানের খুঁটিনাটি প্রোজেক্টরের সাহায্যে বোঝানো হচ্ছে পড়ুয়াদের। বৃহস্পতিবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।

যাদবপুর মানে গবেষণা। যাদবপুর হল, উৎকর্ষের আর এক নাম। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্য যখন উত্তাল, তখন বৃহস্পতিবার যাদবপুর ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন সেখানকার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন (ইটিসি) বিভাগের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায়। ইসরোর চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদে অবতরণের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সায়ন এবং পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত। সায়ন জানালেন, গত কয়েক দিন ধরে যাদবপুর নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই এখানে চালু হয়েছে পূর্বাঞ্চলের প্রথম ‘ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ল্যাবরেটরি’।

চাঁদের বুকে ‘বিক্রম’ কী ভাবে ‘সফ্‌ট ল্যান্ডিং’ করেছে, তা দুই অধ্যাপক এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বারান্দায় প্রোজেক্টরের সাহায্যে বোঝান। অমিতাভ ছিলেন অনলাইনে। সায়ন ছিলেন প্রোজেক্টরের সামনে পড়ুয়াদের সঙ্গে। সায়ন জানান, এই গবেষণায় সাহায্য করেছেন বেশ কয়েক জন পড়ুয়া ও গবেষক। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদ এই আয়োজন করেছিল।

উপস্থাপনা দেখার পরে পড়ুয়াদের একাংশ জানান, ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পান, সেটাই তাঁরা চান। কিন্তু যাদবপুরের সবটাই তো খারাপ নয়। সেখানকার গবেষক, অধ্যাপকদের সঙ্গে চন্দ্রযান-৩-এর চাঁদে অবতরণের সম্পর্কই ফের তা প্রমাণ করছে। সায়নেরও দাবি, ‘‘এই উত্তাল পরিস্থিতিতেও দেখা যাবে, যাদবপুরের অধ্যাপকেরা নিভৃতে ছাত্রদের নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন।’’

গত ১৬ অগস্ট যাদবপুরে প্রায় নীরবে চালু হয়েছে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট ল্যাবরেটরি। আশির দশকে তৈরি ইটিসি বিভাগের ‘আইসি সেন্টার’ বহু বছর সেন্সর, সোলার সেল এবং সেমিকন্ডাক্টর চিপের গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে। সেখানেই এই বিষয়ক একটি সংস্থার সহায়তায় ল্যাবরেটরি তৈরি হয়েছে। আইসি সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সায়ন জানালেন, সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে গবেষণা হবে এই ল্যাবরেটরিতে। সহযোগী সংস্থার ইলেকট্রনিক্স অটোমেশন সফ্‌টওয়্যার দিয়ে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেটেড চিপ বানানো শুরু হয়েছে। সায়ন জানালেন, আইসি সেন্টারকে উৎকর্ষ কেন্দ্র হিসাবে তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jadavpur University Chandrayaan-3 ISRO Research Work

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy