Advertisement
E-Paper

বিরল বম্বে গ্রুপের রক্ত পেতে হন্যে

পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে আচমকা প্রসবযন্ত্রণা ওঠে বছর বত্রিশের বিলকিসের। তাঁর ভাসুর সরিফুল ইসলাম জানান, সকাল সাতটা নাগাদ অস্ত্রোপচার হলে একটি অপরিণত শিশু প্রসব করেন মহিলা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৯ ০০:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রক্ত পরীক্ষা আগেও হয়েছিল বসিরহাটের বাসিন্দা বিলকিস পরভিনের। কিন্তু তাঁর রক্তের গ্রুপ যে বিরল, তা জানতেন না ওই বধূ। অস্ত্রোপচারের পরে মা ও সদ্যোজাত যখন সঙ্কটজনক অবস্থায়, তখন বুধবার দিনভর বিরল বম্বে গ্রুপের রক্তের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরলেন ওই বধূর পরিজনেরা। শেষে রক্তদানের সাধারণ নিয়ম ভেঙে বিলকিসকে বাঁচাতে রক্ত দিলেন এক সহৃদয় ব্যক্তি।

পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন ভোরে আচমকা প্রসবযন্ত্রণা ওঠে বছর বত্রিশের বিলকিসের। তাঁর ভাসুর সরিফুল ইসলাম জানান, সকাল সাতটা নাগাদ অস্ত্রোপচার হলে একটি অপরিণত শিশু প্রসব করেন মহিলা। সরিফুলের কথায়, ‘‘মা ও শিশু, দু’জনেরই অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানান, রক্তের প্রয়োজন। তখনই জানতে পারি, বৌমার রক্তের গ্রুপ বিরল। আগেও একাধিক বার রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। কিন্তু কোথাও বম্বে গ্রুপের কথা বলা হয়নি!’’

সরিফুল জানান, রক্তের খোঁজে সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্ক-সহ একাধিক সরকারি-বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেও লাভ হয়নি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও আবেদন করা হয়। সেই সূত্রেই উত্তর কলকাতার বাসিন্দা মৃদুল দলুইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। সাধারণত রক্তদানের পরে ছ’মাস অতিক্রম না হলে দ্বিতীয় বার রক্ত দিতে বারণ করেন চিকিৎসকেরা। মাস তিনেক আগে এক শিশুর জন্য রক্ত দিয়েছিলেন মৃদুলবাবু। এ দিন তিনিই আবার রক্ত দেন। মৃদুলের কথায়, ‘‘বিলকিসের ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। বম্বে গ্রুপ সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। তাই এ রাজ্যে প্রকৃত বম্বে গ্রুপের সংখ্যা কত, সেই সংক্রান্ত তথ্যই নেই।’’

Patient Bombay Blood Group
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy